দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কার্যালয়ে গিয়ে ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা তার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। তবে তিনি ঠিক কবে এই পরিদর্শন যাবেন, তা নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়নি। অবশ্য বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব প্রধান উপদেষ্টা কাজটি করবেন।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আয়নাঘর পরিদর্শন করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন ড.

ইউনূস। সেদিন এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সামনে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরেছিলেন কমিশনের সদস্যরা। ওই দিন প্রধান উপদেষ্টাকে ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা ‘জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল’ ঘুরে দেখার অনুরোধ  করেছিল কমিশন। 

আরো পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কমান্ড সেন্টার গঠনের নির্দেশ

অনলাইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সভায় রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম এবং ব্যাপক হারে আমদানি ও সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা হয়।

সভায় রমজানে লোডশেডিং না রাখা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়েও কথা হয়।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৫৪ কোটি টাকা

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সরকারি সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-১১ এর আওতায় ৫০ হাজার (+৫%) মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫৪ কোটি ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার (+৫%) মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে পাঁচটি দরপত্র জমা পড়ে। পাঁচটি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশ অনুযায়ী রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল, সিঙ্গাপুর এসব চাল সরবরাহ করবে। 

প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ৪১৬.৪৪ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ৮ লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৫৪ কোটি ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। 

চলতি অর্থবছরে চালের মোট চাহিদা ৩৯.৭৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে ৭.৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার চুক্তি সম্পাদন হয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার যে কারণে নিয়ন্ত্রণে ছিল
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে টেকসই অর্থায়ন জরুরি : ওয়েবিনারে বক্তারা
  • পরীক্ষায় নকল সরবরাহের শর্তে টাকা আদায়
  • বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর কথা জানাল বহুজাতিক তিন প্রতিষ্ঠান
  • উপজেলা পর্যায়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সংকট
  • গাজা মানুষ ‘হত্যার ক্ষেত্র’, বললেন গুতেরেস, অবরুদ্ধ অবস্থা কাটাতে বিশ্বকে কাজ করার আহ্বান ৬ সংস্থার
  • মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা বাড়াচ্ছে শপআপ, বড় বিনিয়োগ
  • খুলনা ওয়াসায় চাকরি, বেতন ছাড়াও আছে সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা
  • ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৫৪ কোটি টাকা
  • গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে: জাতিস