ছবি: প্রথম আলো

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলায় খরচ বাড়ল

অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের চার্জ বেড়েছে। এখন থেকে অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে মাসে পাঁচটির বেশি লেনদেন করলে প্রতি লেনদেনে ৩০ টাকা করে দিতে হবে। প্রথম পাঁচটি লেনদেনে এখনকার মতোই ১৫ টাকা করে কাটবে ব্যাংক। এতদিন যতবারই উত্তোলন করা হোক, প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা করে চার্জ দিতে হতো। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকে পাঠানো হয়। 

সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহক যদি তার ব্যাংক হিসাবে সংক্ষিপ্ত বিবরণী বা স্থিতি নিতে চান তার জন্য ভ্যাটসহ অতিরিক্ত ৫ টাকা দিতে হবে। খুদে বিবরণীর জন্য দিতে হবে ৫ টাকা এবং তহবিল স্থানান্তরের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১০ টাকা। এই চার্জ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে দেবে। নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে প্রথম ৫টি লেনদেনে (প্রতি লেনদেনে ২০ হাজার টাকা বা গ্রাহকের চাহিদানুসারে উত্তোলনকৃত অর্থ) ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ টাকা গ্রাহক থেকে আদায় করতে পারবে। পরবর্তী লেনদেনগুলোর ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ চার্জ তথা ৩০ টাকা করে গ্রাহক হতে আদায় করতে পারবে।

দেশের ভেতরে পিওএস ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকে দেবে।

এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ হবে সর্বোচ্চ ১০ টাকা। এ চার্জ অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে। 

সার্কুলারে সরকারি সেবার বিভিন্ন ফি ও চার্জও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধে সর্বোচ্চ ২০টাকা এবং এর বেশি  পরিশোধে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা চার্জ নিতে পারবে ব্যাংক। এছাড়া এমএফএস বা পিএসপি ওয়ালেট ব্যবহার করে লেনদেন প্রতি ১ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা যা নিম্নতর তা আদায় করা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ