সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন মিসেস তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ আবেদন করেন।  

আবেদনে বলা হয়, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও মিসেস তৌফিকা আফতাবসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের জন্য অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে আনিসুল হকের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি ও জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ তদবীর বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। 

তৌফিকা তার অবৈধ আয়ের টাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটা বিলাস বহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটিজেনস ব্যাংকে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৭ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সিটিজেনস ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ রয়েছে।  

আবেদনে বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তৌফিকা আফতাব অবৈধভাবে অর্জিত উক্ত সম্পদ হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তার বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন। 

ঢাকা/মামুন//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমার কোনো আফসোস নেই: বাঁধন

লাক্স তারকা থেকে রুপালি পর্দা, তারপর বিশ্ব মঞ্চ ও বলিউডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তার এই চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। কারণ পেশাগত নানা সংকটের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও সংগ্রামটা একাই করতে হয়েছে তাকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন দারুণ সক্রিয়। সমকালীন নানা বিষয় নিয়ে ফেসবুকে নিজের মত প্রকাশ করে থাকেন। তবে হঠাৎ এ মাধ্যমে তার কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি। বলা যায়, গত কয়েক মাস ধরে অনেকটা আড়ালে এই অভিনেত্রী। পহেলা বৈশাখে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে অনেকটা ভালো আছেন।

এ লেখায় নিজের অবস্থান জানিয়ে আজমেরী হক বাঁধন বলেন, “শুধু এটা বলতে চাই, আমি এখনো এখানে আছি। মায়ের বাড়িতে থাকি, বাবার গাড়িতে চড়ি। বাইরে থেকে জীবন সহজ। কিন্তু ভেতরে–ভেতরে নীরবে তা বদলাতে থাকে। আমি কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে ছিলাম এবং সত্যি বলতে এটা আমাকে শান্তি দিয়েছে।”

আরো পড়ুন:

পলকের সঙ্গে প্রেম নিয়ে যা বললেন সাইফের পুত্র ইব্রাহিম

রেকর্ড গড়ল অজিতের সিনেমা

বাঁধনের জীবনের জার্নিটা সহজ ছিল না। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, “আমি নিজের খেয়ালখুশি মতো চলছি। তবে যে পথ পার করে এসেছি, তা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু আমার মতো করেই পথ চলেছি। আমার ভুল আমি মেনে নিই, একই সঙ্গে বেড়ে ওঠার প্রতিও আমি সম্মান জানাই। জীবনে যত সাফল্য পেয়েছি, সবই আমি অর্জন করেছি। কারো মতামত আমাকে নাড়াতে পারে না, আমি জানি, কে আমি এবং এতটা পথ আসতে আমার কী কী করতে হয়েছে।” 

জীবন নিয়ে কোনো আফসোস নেই বাঁধনের। বরং নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছেন। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “কোনো আফসোস নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতা আমার জন্য একটি শিক্ষা। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ একেকটা গল্প, যা আমাকে আজকের আমি হিসেবে তৈরি করেছে। একই সঙ্গে আমি আমাকে আমার মতো করে গুছিয়েছি। এখনো তা চলমান এবং তা আমি চালিয়ে যাব।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ