খালি পাঁয়ে কালো ব্যাজধারন করে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার সেলফি ও ফেইস বুকে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দেয়ার অর্থ মাতৃভাষাকে মর্যাদা দেয়া নয়!, ভাষার মর্যাদা হবে শুদ্ধভাবে ভাষার চর্চা করা এবং সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা।

বাস্তবে আমরা তা কতটুকু করতে পেরেছি? ফেব্রুয়ারী মাস এলেই আমরা কিছুটা বাঙালী হয়ে উঠি!! শহীদ মিনারে ঘষামাজি অঞ্জলী আকাঁর ধুম পড়ে যায়!! ফেব্রুয়ারী মাস শেষে ফিওে আসি বাংলা রীতিতে!!

আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করেছে একুশে ফেব্রুয়ারি! গোটাবিশ্বে দিবসটি পালন হলেও আমরা এখনো স্মপূর্ন বাঙালী হতে পারলাম না! এটাযে কতটা লজ্জা ও দুঃখের বিষয় তা পুনরায় আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে! শ্লোগান দিচ্ছি শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবনা! এটা শুধূমাত্র শ্লোগান হয়েই রইলো!! আমরা কিন্তু মনোপ্রানে এখনো বাঙালী হতে পারিনি!!

যদি বাঙালী হতে পারতাম তাহলে এতবছর পরেও কেনো সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করা গেলনা!! অপরদিকে বাঙালীর দূর্দশাও কাটছেনা!!

পৃথিবীর একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে গোটা বিশ্বে বীরের জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ছিলো! আজ তারা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে?

মাতৃভাষা প্রতি যথাযথ সম্মান কেনো আমরা দিতে পারছি না? তা ভেবে দেখা উচিৎ নয়কি ?

মাতৃভাষার প্রতি যথাযথ সম্মান দেয়ার মাণষিকতা সৃষ্টি হলে স্বজন প্রীতি, দূর্নীতি বহুলাংশে কমে আসতো তাতে কোন সন্দেহ নেই! আমাদের গোড়াই গলত রয়ে গেছে! তাইতো বার বার আমরা হোচট খাই চলার পথে! নিজের বুজ নাকি পাগলেও বোঝে!

এই প্রবাদ বাক্যটি যানা সত্যেও আমরা কেনো যে বুঝলাম না তা আমার বোধগম্য হয়না। সময়ের সার বর্তমান এখন থেকেও যদি মাতৃভাষার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রর্দশন করতে পারি তা হলে হয়তো জাতি রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি পেতে পারে।।

.