শেখ মুজিবের ম্যুরালের পর গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়
Published: 6th, February 2025 GMT
ছবি: প্রথম আলো
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সহিংসতার বিষয়ে সরকারের মনোভাব নমনীয় উল্লেখ করে আমরাই পারি জোটের উদ্বেগ
কয়েক মাস ধরে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের আচরণ একধরনের নিশ্চুপ ও নমনীয়। সরকারের এমন ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আমরাই পারি জোট। পাশাপাশি জোটটি এসব সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
আজ রোববার আমরাই পারি জোট এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিবৃতিতে জোটের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ৩২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
বিবৃতিতে বিভিন্ন পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ব্যক্তিপর্যায়ের প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সারা দেশে ঘরে-বাইরে ধর্ষণ, হত্যা, হয়রানি, সাইবার বুলিংসহ নারী ও কন্যাশিশুর ওপর নানা ধরনের নির্যাতন বেড়েই চলছে। এমনকি নারী ও শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক যে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেলেও সরকারের দিক থেকে একধরনের নিশ্চুপ ও নমনীয় আচরণ দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয় শুধু গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬টি পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী ১৮৯ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু জোট মনে করছে নির্যাতনের সংখ্যা আরও বেশি। অনেকে ভয়, সংকোচ ও শঙ্কা থেকে তা প্রকাশ করছেন না।
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে নারী নিপীড়নের ঘটনা, রংপুরে ফুল সংগ্রহ করতে যাওয়া শিশুকে ধর্ষণ, নাটোরে ঘাস কাটতে গিয়ে আদিবাসী শিশু ধর্ষণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, মেয়েদের ফুটবল খেলার ওপর আক্রমণসহ বেশ কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হয়।
আমরাই পারি জোট মনে করে এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং নারীর স্বাধীন চলাচল ও তাঁর স্বাধীন স্বত্তাকে ভয় দেখিয়ে তাঁকে গৃহবন্দী করার এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে এবং সর্বত্র নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় জোটটি। পাশাপাশি তারা জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানায়।
জোটের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সুলতানা কামাল, শাহিন আনাম, শীপা হাফিজা, জিনাত আরা হক, ফওজিয়া খোন্দকার ইভা, রেখা সাহা, মাহবুবা বেগম হেনা, সেলিনা আহমেদ, সাহিদা পারভীন শিখা, কাজী সুফিয়া, বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, জিয়াউল আহসান, রাবেয়া বেগম, হাসিনা বেগম নীলা, লায়লা আরজুমান্দ বানুসহ মোট ৩২ জন।