সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে টাকা তুললে প্রতিবার লেনদেনের জন্য গ্রাহককে (এটিএম কার্ডধারী) ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা করে দিতে হবে। এতোদিন ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ১৫ টাকা করে দিতে হতো। যদিও কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এটিএম বুথ স্থাপনকারী ব্যাংককে ১৫ টাকা করে দেবে।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহক যদি তার ব্যাংক হিসাবে সংক্ষিপ্ত বিবরণী বা স্থিতি নিতে চান তার জন্য ভ্যাটসহ অতিরিক্ত ৫ টাকা দিতে হবে। ক্ষুদে বিবরণীর জন্য দিতে হবে ৫ টাকা এবং তহবিল স্থানান্তরের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১০ টাকা। এই চার্জ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে প্রথম ৫টি লেনদেনে (প্রতি লেনদেনে ২০ হাজার টাকা বা গ্রাহকের চাহিদানুসারে তননিল্ন অর্থ) ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ ১৫ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) গ্রাহকের নিকট হতে আদায় করতে পারবে। পরবর্তী লেনদেনসমূহে ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ চার্জ গ্রাহক হতে আদায় করতে পারবে। এক্ষেত্রে এনপিএসবি এর আওতায় গ্রাহক প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্থন্ত নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবে। নগদ অর্থ উত্তেলন ব্যতীত অন্যান্য লেনদেনের সার্ভিস চার্জ বাবদ উল্পিখিত সম্পূর্ণ অর্থ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট হতে আদায় করতে পারবে।

বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে পিওএস ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভূক্ত) অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ইস্যুয়িং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট হতে উক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে

ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার

এনপিএসবি এর আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ১০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভু্ত); যা অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের নিকট হতে আদায় করতে পারবে।

অনলাইনে আয়কর পরিশোধ এবং সরকারি পরিষেবা

করদাতাদের অধিকতর উৎসাহ প্রদান ও অনলাইনে আয়কর পরিশোধে সহজ করার লক্ষ্যে ই-রিটার্ন সিস্টেম হতে কার্ড পেমেন্ট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমএফএসপিএসপি ওুয়ালেট-এর মাধ্যমে আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি চার্জ হবে নিম্নরুপ-

ক) বাংলাদেশে ইস্যুকৃত কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেনে গ্রাহকের নিকট হতে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) এবং ২৫ হাজার টাকার উধ্ধ্বে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্ ৫০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) আদায় করা যাবে;
খ) এমএফএস/পিএসপি ওয়ালেট ব্যবহার করে লেনদেনে গ্রাহকের নিকট হতে লেনদেন প্রতি ১ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত), যা নিম্নতর, আদায় করা যাে
গ) এ লেনদেনের বিপরীতে কোন চার্জব্যাক প্রযােজ্য হবে না।

এমসিসি-৯৩৯৯ এর বিপরীতে কোন চার্জব্যাক প্রযোজ্য হবে না। এমসিসি-৯৩৯৯ এর এর বিপরীতে সংঘটিভ কার্ড লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইস্যুকৃত কা্ভের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধের ক্ষেত্রে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট হতে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্তুক) আদায় করবে, যার
মধ্যে ৫ টাকা (ভ্যাট অন্তরভূক্ত) কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংকাপ্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ২৫ হাজার টাকার উর্ধে এ জাতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রচলিত ফি/চার্জ প্রযোজ্য হবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি হতে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ২৫ হ জ র ট ক র জন য পর শ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী

বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টাশালী এক্সিবিশন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই প্রদর্শনীর।

‘দ্য ল্যানটিং লিগ্যাসি’ প্রতিপাদ্যে সাত দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস, বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন চীনা দূতাবাসের অ্যাটাশে সুন খ্যংনিং ও বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম রানা।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় সুন খ্যংনিং বলেন, “আমরা এই বছর প্রথমবারের মতো চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। তাড়াহুড়া করে এই আয়োজন করা হয়েছে, তাই সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারিনি। এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী; তবুও আশা করি, দর্শকরা চীনা ক্যালিগ্রাফির সৌন্দর্য উপভোগ করবেন।”

চীন-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চ স্তরে পৌঁছাবে এবং গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

জাহাঙ্গীর আলম রানা বলেন, চীনা ক্যালিগ্রাফি তিন হাজার বছরের পুরোনো। তুলি, কালি, কলম ও কাগজ দিয়ে চীনা শিল্পীরা নান্দনিক ক্যালিগ্রাফি তৈরি করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চীনা ক্যালিগ্রাফিভক্ত লিউ চেন, কো তাহাই, হু সংসহ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ