অন্য ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলার খরচ বেড়ে দ্বিগুণ
Published: 6th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে টাকা তুললে প্রতিবার লেনদেনের জন্য গ্রাহককে (এটিএম কার্ডধারী) ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা করে দিতে হবে। এতোদিন ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ১৫ টাকা করে দিতে হতো। যদিও কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এটিএম বুথ স্থাপনকারী ব্যাংককে ১৫ টাকা করে দেবে।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহক যদি তার ব্যাংক হিসাবে সংক্ষিপ্ত বিবরণী বা স্থিতি নিতে চান তার জন্য ভ্যাটসহ অতিরিক্ত ৫ টাকা দিতে হবে। ক্ষুদে বিবরণীর জন্য দিতে হবে ৫ টাকা এবং তহবিল স্থানান্তরের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১০ টাকা। এই চার্জ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে প্রথম ৫টি লেনদেনে (প্রতি লেনদেনে ২০ হাজার টাকা বা গ্রাহকের চাহিদানুসারে তননিল্ন অর্থ) ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ ১৫ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) গ্রাহকের নিকট হতে আদায় করতে পারবে। পরবর্তী লেনদেনসমূহে ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ চার্জ গ্রাহক হতে আদায় করতে পারবে। এক্ষেত্রে এনপিএসবি এর আওতায় গ্রাহক প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্থন্ত নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবে। নগদ অর্থ উত্তেলন ব্যতীত অন্যান্য লেনদেনের সার্ভিস চার্জ বাবদ উল্পিখিত সম্পূর্ণ অর্থ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট হতে আদায় করতে পারবে।
বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে পিওএস ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ইস্যুয়িং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভূক্ত) অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ইস্যুয়িং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট হতে উক্ত চার্জ আদায় করতে পারবে
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার
এনপিএসবি এর আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ১০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভু্ত); যা অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের নিকট হতে আদায় করতে পারবে।
অনলাইনে আয়কর পরিশোধ এবং সরকারি পরিষেবা
করদাতাদের অধিকতর উৎসাহ প্রদান ও অনলাইনে আয়কর পরিশোধে সহজ করার লক্ষ্যে ই-রিটার্ন সিস্টেম হতে কার্ড পেমেন্ট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমএফএসপিএসপি ওুয়ালেট-এর মাধ্যমে আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি চার্জ হবে নিম্নরুপ-
ক) বাংলাদেশে ইস্যুকৃত কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেনে গ্রাহকের নিকট হতে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) এবং ২৫ হাজার টাকার উধ্ধ্বে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্ ৫০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) আদায় করা যাবে;
খ) এমএফএস/পিএসপি ওয়ালেট ব্যবহার করে লেনদেনে গ্রাহকের নিকট হতে লেনদেন প্রতি ১ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত), যা নিম্নতর, আদায় করা যাে
গ) এ লেনদেনের বিপরীতে কোন চার্জব্যাক প্রযােজ্য হবে না।
এমসিসি-৯৩৯৯ এর বিপরীতে কোন চার্জব্যাক প্রযোজ্য হবে না। এমসিসি-৯৩৯৯ এর এর বিপরীতে সংঘটিভ কার্ড লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইস্যুকৃত কা্ভের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধের ক্ষেত্রে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট হতে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্তুক) আদায় করবে, যার
মধ্যে ৫ টাকা (ভ্যাট অন্তরভূক্ত) কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংকাপ্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে। ২৫ হাজার টাকার উর্ধে এ জাতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রচলিত ফি/চার্জ প্রযোজ্য হবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি হতে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ২৫ হ জ র ট ক র জন য পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ফেনীতে আ.লীগ কার্যালয় ও তিন সাবেক এমপির বাড়ি ভাঙচুর-আগুন
ফেনীতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও সাবেক তিন সংসদ সদস্যের ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরের জিরো পয়েন্ট ট্রাঙ্ক রোড থেকে লাঠি হাতে শতাধিক ছাত্র-জনতা মিছিল করে পুরাতন বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত ফেনী-১ আসনের সাবেক সাংসদ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বাড়ি গিয়ে সেখানে বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ও দেয়াল ভাঙচুর করে। পরে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। একই সময়ে জেলা শহরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর নানার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
ত্রিপুরা শহরে একটি বাড়ি ও একটি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি শেষে স্থান ত্যাগ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. বায়েজিদ আকন বলেন, সাবেক এমপি মাসুদ চৌধুরীর বাড়িতে আগুনের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। আগুন নিজ থেকে নিভে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন হয়নি।