ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ছিনতাই প্রতিরোধে ট্রাফিক সার্জেন্টদের স্মল আর্মস দেওয়া হবে। এ সময় তিনি মহানগরীতে যানজট নিরসন ও সড়কে ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরায় এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আজমপুরে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আয়োজনে ‘ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচল’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘‘শুধু ড্রাইভার ও পরিবহন শ্রমিকদের নিয়মকানুন মেনে চললে হবে না, পাশাপাশি যাত্রী সাধারণসহ সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচল ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে যত্রতত্র ওঠানামা না করে নির্দিষ্ট যাত্রী ছাউনী থেকে ওঠানামা করতে পারে, এই কার্যক্রম সফল করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ঢাকা মহানগরীতে প্রায় আড়াই কোটি লোকের বসবাস। এখানে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। এর মাঝেও আমরা ভালো যাতে থাকতে পারি সে চেষ্টা সবাইকে করতে হবে। ঢাকাবাসী যাতে ভালো থাকে এর জন্য যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। থানায় গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। থানায় মামলা বা জিডি হলে জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে পুলিশি সেবা দেওয়া হচ্ছে।  পুলিশের কেউ হয়রানি করলে আমাদের জানাবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’’

ড্রাইভারদের নিয়োগপত্র ও মাসিক বেতন নিয়মিত দিতে পরিবহন নেতৃবৃন্দের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, ‘‘রাজধানীতে ছিনতাই প্রতিরোধে ট্রাফিক সার্জেন্টদের স্মল আর্মস দেওয়া হবে। ছিনতাই প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো.

সরওয়ার ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান। এ ছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এমএ বাতেন।

এম/আর//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে এনসিডি ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ব্র্যাক  ৩৬০ ডিগ্রি এনসিডি কেয়ার প্রজেক্টের আওতায় নারায়ণগঞ্জে এনসিডি ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটালাইজেশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ বা অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) ব্যবস্থাপনা এবং এনসিডি কর্নারের ডিজিটালাইজেশন বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 


এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা, ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন বৃদ্ধি এবং স্পাইস (ঝচওঈঊ) অ্যাপের মাধ্যমে রোগীদের পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান। 

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলার সকল উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগন, মেডিকেল অফিসার, নার্স, পরিসংখ্যানবিদ, ক্লার্ক,স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ অনেকে। ব্র্যাকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ডা. মাহমুদুল হাসান, ডা. রেজওয়ানা বিশ্বাস, টেলিকাউন্সেলর, মো. তৌহিদুল ইসলাম, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম লিড, মেডট্রোনিক ল্যাবস।

সুমন চৌধুরী, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক।ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসুচির সোনারগাঁও ও বন্দর উপজেলার এলাকা ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, এবং পবিত্র কুমার দেবনাথসহ হেল্থ এডুকেটর, কর্মসুচি সংগঠকগণ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ