প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজসহ ১৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এবার রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদকে’ ভূষিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার একুশে পদক পাচ্ছেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহির, সংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা, লেখক মঈদুল হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক আজিজুর রহমান, সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া, চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা, অনুবাদক ও গবেষক নিয়াজ জামান, অভ্র ফন্টের নির্মাতা মেহেদী হাসান খান, আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন ও শহীদুল আলম, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লা ও মাহমুদুর রহমান, চট্টগ্রামের সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পদক জয়ীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেন।
অবশ্য ফেসবুক পেজেও বিষয়টি তুলে ধরে পোস্ট করেছেন ফারুকী। তিনি লিখেছেন, “আমরা খুবই আনন্দিত এই বছর ‘বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে’ একুশে পদকের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে।”
তিনি আরো লিখেছেন, “গুণী মানুষেরা পদকের অনেক ঊর্ধ্বে। আমার মনে হয় না তারা কেউ পদকের জন্য কাজ করেন। রাষ্ট্র তাদের সম্মান জানায়। ‘আপনার অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ’ এটা বলার জন্য।”

আরো পড়ুন:

লাল, কালো, সাদার মন্ত্রে এবারের অমর একুশে বইমেলা

নিজ গ্রামের স্কুলে সংবর্ধিত একুশে পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হক 

ভাষা ও সাহিত্যে এবার দুজনকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে একজন কবি হেলাল হাফিজ, যিনি গত বছর ডিসেম্বরে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি পাচ্ছেন মরণোত্তর একুশে পদক।  আরেকজন হলেন কথাসাহিত্যিক শহীদুল জহির।  তার প্রকৃত নাম মো.

শহীদুল হক। তিনিও মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন।

সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ছুটির ঘণ্ট চলচ্চিত্রের পরিচালক প্রয়াত আজিজুর রহমানও মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন। সংগীতে বিশেষ অবদান রাখায় এবার শিল্পী, সংগীত শিক্ষক ও সুরকার ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) এবং শিল্পী ফেরদৌস আরা একুশে পদকে ভূষিত হচ্ছেন।

শিল্পকলায় চিত্রশিল্পের জন্য রোকেয়া সুলতানা ও আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুনকে দেওয়া হচ্ছে একুশে পদক। আর লেখক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মূলধারা ৭১ এর রচয়িতা মঈদুল হাসান পাচ্ছেন গবেষণায় ক্যাটাগরিতে।

সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা পাচ্ছেন মরণোত্তর একুশে পদক। সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এই পদকে ভূষিত হচ্ছেন।

লেখক ও অনুবাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নিয়াজ জামান শিক্ষায়, আলোকচিত্রী ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল আলম সংস্কৃতি ও শিক্ষায়, কম্পিউটারে অভ্র ফন্টের নির্মাতা মেহেদী হাসান খান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এবং চট্টগ্রামের সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর) সমাজসেবায় এবার একুশে পদক পাচ্ছেন।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পুরস্কার। এর পরই একুশে পদক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদার স্থানে রয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে সরকার এই পদক দিয়ে আসছে। 

ঢাকা/হাসান/রাসেল/তারা

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদক প চ ছ ন র রহম ন র জন য র এক শ

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএস ২৯তম প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসের সভাপতি তারিক, সম্পাদক আলাওল

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তারিক হাসানকে সভাপতি এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) র হ ম আলাওল কবিরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ২৯তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার সার্ভিসের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বুধবার ২৩ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহসভাপতির তিনটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের (এনবিআর) একান্ত সচিব নাজমুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধানের একান্ত সচিব আ স ম জামশেদ খোন্দকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব আশফিকুন নাহার।

যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে মোহাম্মদ সাইফুল কবির ও অনিমেষ সোম নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোসাদ্দেক মেহ্দী ইমাম, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হালিম, কোষাধ্যক্ষ পদে ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদে সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক পদে রবীন্দ্র চাকমা, প্রকাশনা সম্পাদক পদে শেখ হাফিজুর রহমান ও নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে শামীম আরা নিপা নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর ২৯তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২৯তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার সার্ভিসের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য মো. রাশেদুল হককে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আমিনুল ইসলাম ও সোহানা নাসরিনকে নির্বাচন কমিশনার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ