ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতার্তেকে অভিশংসিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে হত্যা, ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে এ অভিশংসন নিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সংসদে ৩০৬ সদস্যের মধ্যে ২১৫ জন অভিশংসন প্রস্তাবে সমর্থন জানান। সরকারি অর্থের অপব্যবহার ও বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী পদক্ষেপের নিন্দা না করা নিয়ে সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।
সারা তাঁর অভিশংসন বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর ভাই পাওলো দুতার্তে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এই অভিশংসন প্রস্তাব এখন সিনেটের ২৪ সদস্যের সামনে উঠবে, যারা একটি অভিশংসন আদালতের মতো কাজ করবেন। দ্য গার্ডিয়ান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ ল প ইন
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নামফলকটি খুলে ফেলা হয়। এ সময় আবাসিক হলের ছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রথমবার উদ্বোধন করা হয়। দুই বছর পর ২০২২ সালের ১৬ মার্চ হলটি আবার উদ্বোধন করা হয়। পরের দিন ১৭ মার্চ ছাত্রীদের হলে ওঠানো হয়।
১৬ তলাবিশিষ্ট আবাসিক হলটিতে ১৬৩টি কক্ষ রয়েছে। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ ছাত্রীকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ নামকরণ করা হয়।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার রিতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাম পরিবর্তন করার জন্য আরও এক মাস আগে আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি। আজকে উপাচার্য হলে আসার পর নামফলক খুলে ফেলার জন্য ছাত্রী হলের প্রতিনিধিরা সরাসরি দাবি উত্থাপন করেন। ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অনেকগুলো নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখান থেকেই হলের নাম চূড়ান্ত হবে।’
ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা ঊর্মি প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীদের অনেক আগে থেকে দাবি ছিল হলের নাম পরিবর্তনের জন্য। আজকে বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে ছাত্রীরা নামফলক খুলে ফেলার ঘোষণা দেন। ছাত্রীরা অনেকগুলো নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান আছে, তাঁদের নামে নামকরণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। নামকরণের জন্য নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নতুন নাম প্রস্তাব করলে দ্রুতই তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাস করা হবে।