ঈদুল আজহার পর বন্ধ হয়ে যাবে দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহ মধুমিতা, সপ্তাহখানেক আগে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রেক্ষাগৃহটির স্বত্বাধিকারী ইফতেখার নওশাদ। ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ। আপাতত মধুমিতা বন্ধ হবে না। প্রেক্ষাগৃহের পরিচালনা পর্ষদের সবাই আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। প্রথম আলোকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন ইফতেখার নওশাদ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ইফতেখার নওশাদ বলেন, ‘আমাদের এক রকম সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে আবার পরিচালনা পর্ষদের সবাই মিলে মধুমিতা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করেন। এরপর সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে আপাতত সিনেমা হল বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তাতে যাচ্ছেন না তাঁরা। আমরা যদি সিনেমা হল বন্ধ করি, তাহলে সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে জানাব।’

ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইফত খ র নওশ দ

এছাড়াও পড়ুন:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নামফলকটি খুলে ফেলা হয়। এ সময় আবাসিক হলের ছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রথমবার উদ্বোধন করা হয়। দুই বছর পর ২০২২ সালের ১৬ মার্চ হলটি আবার উদ্বোধন করা হয়। পরের দিন ১৭ মার্চ ছাত্রীদের হলে ওঠানো হয়।

১৬ তলাবিশিষ্ট আবাসিক হলটিতে ১৬৩টি কক্ষ রয়েছে। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ ছাত্রীকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ নামকরণ করা হয়।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার রিতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাম পরিবর্তন করার জন্য আরও এক মাস আগে আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি। আজকে উপাচার্য হলে আসার পর নামফলক খুলে ফেলার জন্য ছাত্রী হলের প্রতিনিধিরা সরাসরি দাবি উত্থাপন করেন। ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অনেকগুলো নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখান থেকেই হলের নাম চূড়ান্ত হবে।’

ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা ঊর্মি প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীদের অনেক আগে থেকে দাবি ছিল হলের নাম পরিবর্তনের জন্য। আজকে বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে ছাত্রীরা নামফলক খুলে ফেলার ঘোষণা দেন। ছাত্রীরা অনেকগুলো নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান আছে, তাঁদের নামে নামকরণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। নামকরণের জন্য নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নতুন নাম প্রস্তাব করলে দ্রুতই তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাস করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ