ভারতের আশ্রয়ে থেকে শেখ হাসিনার গতকাল বুধবার রাতে দেওয়া ভাষণের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই ভাষণ দিয়েছেন বলে সংগঠনটি মনে করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনটি এসব কথা বলে।

বিবৃতি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী, জাতীয় বেইমান, পলাতক ফেরারি আসামি শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই ভাষণ দিয়েছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করতে হাসিনা-মোদির এই যে চক্রান্ত, জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, জুলাই ২৪–এর ছাত্র, শ্রমিক, জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী ভারতের শৃঙ্খল থেকে, আওয়ামী-বাকশালি চক্রের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করতে হবে। অভ্যুত্থানকে বিকশিত করে ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আমলাতান্ত্রিক ভিত্তিভূমি উচ্ছেদের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাষাড়ায় রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড, চাঁদাবাজি

একের পর এক সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যদিয়েই চলছে নারায়ণগঞ্জে দখলদারিত্ব। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এখানকার রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, পরিবহন ও ঝুট সেক্টরসহ অনেক বড় বড় সেক্টরগুলো দখল হয়ে গেলেও এখনও বন্ধ করা যাচ্ছে এসব দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজী।

প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে উঠে আসছে এসব দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজীর খবর। এবার সেই খবরে যোগ হলো চাষাঢ়ার রেলওয়ের জায়গা দখল করে অটো স্ট্যান্ড ও চাঁদাবাজীর ঘটনা।

জানাগেছে, চাষাঢ়া আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন রেলওয়ের জায়গাটি দখল করে অটো রিকশা ড্রাইভার-মালিক ঐক্যপরিষদের নামে ভূয়া একটি সংগঠন খুলে স্ট্যান্ড করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি অটো রিকশা থেকে নিয়মিত আদায় করা হচ্ছে চাঁদা।

যানজট নিয়ন্ত্রণে ৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের বেতন বাবদ ওই চাঁদা তোলা হয় বলে জানিয়েছেন ওই ভুঁইফোড় সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি মো: সাইদ। তবে তার কথার সাথে বাস্তবতার মিল বড় কঠিন।

খোঁজ নিয়ে আরও জানাগেছে, চাষাঢ়া-পঞ্চবটি রুটে প্রায় ৩ শতাধীক অটো রিকশা চলাচল করে। এসব অটো রিকশা থেকে বর্তমানে ৩০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। হিসেব অনুযায়ী ৩শ অটো রিকশা থেকে দৈনিক প্রায় ৯ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। 

অথচ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ৪ জনের বেতন বাবদ দৈনিক ৭শ টাকা করে হলে মোট ২ হাজার ৮শ টাকা হয়। বাকি টাকা চাঁদাবাজদের পকেটেই ঢুকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুঁইফোড় সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি মো: সাইদ পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে এখানে স্ট্যান্ড করেছেন বলে দাবি করেন। 

তিনি বলেন, আগে আমাদের অটো রিকশাগুলো পঞ্চবটি থেকে অক্টো অফিস পর্যন্ত চলাচল করতো। চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি যাওয়া যাত্রীগুলো অনেক সময় চাষাঢ়া থেকে রিকশা করে অক্টো অফিসে গিয়ে সেখান থেকে অটো রিকশা করে পঞ্চবটিতে যেতো।

কিন্তু শহরে মিশুক চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় ওরা চাষাঢ়া থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে সোজা পঞ্চবটিতে যায়। ফলে যাত্রী সংকটে পরে অটো রিকশা চালকরা। পরে আমরা এ নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করি। আমরা এসপি অফিসে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও টিআই এডমিন আমাদের এখানে স্ট্যান্ড করার অনুমতি দেন। 

‘রেলওয়ের জায়গা স্ট্যান্ড করতে হলেতো রেলকর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। আপনারা কি সেই অনুমতি নিয়েছেন?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইদ বলেন, নানা আমরা আপাতত কাউকে জানাইনি। আপাতত গাড়ীগুলো (অটো রিকশাগুলো) রাখাতাছি। পরে স্টেশন মাস্টারকে জানাবো।

এদিকে পুলিশের অনুমতি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে টিআই আবদুল করিম শেখ বলেন, ওই জায়গাতো আমাদের না। আমরা কেন অনুমতি দেবো। আমাদের কথা হলো, অটো রিকশা যেখানেই চলুক আর যেখানেই রাখুক শহরে ঢুকতে পারবে না।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অসহায়-দুস্থ রোজাদারের জন্যই তাদের আয়োজন
  • পাবনায় ৫ বছর ধরে ইফতারি নিয়ে এতিমদের পাশে শিক্ষার্থীরা
  • চাষাড়ায় রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড, চাঁদাবাজি