ভারতের আশ্রয়ে থেকে শেখ হাসিনার গতকাল বুধবার রাতে দেওয়া ভাষণের কঠোর সমালোচনা করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই ভাষণ দিয়েছেন বলে সংগঠনটি মনে করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনটি এসব কথা বলে।

বিবৃতি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী, জাতীয় বেইমান, পলাতক ফেরারি আসামি শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতেই ভাষণ দিয়েছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করতে হাসিনা-মোদির এই যে চক্রান্ত, জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, জুলাই ২৪–এর ছাত্র, শ্রমিক, জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী ভারতের শৃঙ্খল থেকে, আওয়ামী-বাকশালি চক্রের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করতে হবে। অভ্যুত্থানকে বিকশিত করে ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আমলাতান্ত্রিক ভিত্তিভূমি উচ্ছেদের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটির দাবি

চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার’ নামের একটি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সদস্য মিশন চাকমা।

এতে বলা হয়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি ও সমতলের জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিহু, চাংক্রান, চৈত্রসংক্রান্তি আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এ উৎসব পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতিসত্তা এবং সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের কাছে জাতীয় ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক। ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত শতাধিক বিভিন্ন জাতিসত্তার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও উৎসবের দিন তাঁদের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উৎসব উপলক্ষে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এক দিনের রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করেছে।

এর আগে গত ৫ মার্চ উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে পাঁচ দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। চিঠি দেওয়া ওই সংগঠনগুলো হচ্ছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আলোচনায় রাজি হিজবুল্লাহ
  • মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির বিকৃতি ছাড়া কিছুই নয়: ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
  • চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈসাবি উপলক্ষে পাঁচ দিন ছুটির দাবি