হুমায়ূন আহমেদের স্ত্ শাওন গ্রেপ্তার, জামালপুরের বাড়িতে আগুন
Published: 6th, February 2025 GMT
জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবরের মধ্যেই অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, পরিচালক ও স্থপতি শাওন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী। শাওনের মা তহুরা আলী ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের তিনবারের সদস্য।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক রাত ৮টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেন। রাষ্ট্র নিয়ে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তথ্য দেন তিনি।
জামালপুর জেলার নরুন্দিতে শাওনের পৈত্রিক বাড়ি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকায় তার গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনা হয়।
২০২৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাওন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি।
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে বিয়ের আগে শিশু শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান শাওন। বাংলাদেশি শিশু শিল্পীদের জন্য রিয়েলিটি টেলিভিশন প্রতিযোগিতা নতুন কুঁড়িতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে বিজয়ী হন তিনি।
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নামফলকটি খুলে ফেলা হয়। এ সময় আবাসিক হলের ছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রথমবার উদ্বোধন করা হয়। দুই বছর পর ২০২২ সালের ১৬ মার্চ হলটি আবার উদ্বোধন করা হয়। পরের দিন ১৭ মার্চ ছাত্রীদের হলে ওঠানো হয়।
১৬ তলাবিশিষ্ট আবাসিক হলটিতে ১৬৩টি কক্ষ রয়েছে। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ ছাত্রীকে আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ নামকরণ করা হয়।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার রিতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাম পরিবর্তন করার জন্য আরও এক মাস আগে আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি। আজকে উপাচার্য হলে আসার পর নামফলক খুলে ফেলার জন্য ছাত্রী হলের প্রতিনিধিরা সরাসরি দাবি উত্থাপন করেন। ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অনেকগুলো নতুন নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখান থেকেই হলের নাম চূড়ান্ত হবে।’
ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা ঊর্মি প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রীদের অনেক আগে থেকে দাবি ছিল হলের নাম পরিবর্তনের জন্য। আজকে বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে ছাত্রীরা নামফলক খুলে ফেলার ঘোষণা দেন। ছাত্রীরা অনেকগুলো নাম প্রস্তাব করেছেন, সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান আছে, তাঁদের নামে নামকরণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়েছে। নামকরণের জন্য নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নতুন নাম প্রস্তাব করলে দ্রুতই তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাস করা হবে।