জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের খবরের মধ্যেই অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।

অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, পরিচালক ও স্থপতি শাওন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী। শাওনের মা তহুরা আলী ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের তিনবারের সদস্য।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক রাত ৮টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেন। রাষ্ট্র নিয়ে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তথ্য দেন তিনি।

জামালপুর জেলার নরুন্দিতে শাওনের পৈত্রিক বাড়ি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেই বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকায় তার গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনা হয়। 

২০২৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাওন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি।

হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে বিয়ের আগে শিশু শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান শাওন। বাংলাদেশি শিশু শিল্পীদের জন্য রিয়েলিটি টেলিভিশন প্রতিযোগিতা নতুন কুঁড়িতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে বিজয়ী হন তিনি। 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জবির লংমার্চে পুলিশের বাধা, স্মারকলিপি দেবে প্রতিনিধিদল

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে আয়োজিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে তাঁতীবাজার মোড় থেকে তারা লংমার্চ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে ক্যাম্পাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশ্যে এ পদযাত্রা শুরু করেন তারা।

তবে আজ থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করে। পুলিশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিষয়টির গুরুত্‌ব অনুধাবন করে বিক্ষোভকারীরা তাঁতীবাজার মোড় থেকে রায়সাহেব বাজার দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন। 

এ সময় ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইসরাইলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ইসরাইলি আগ্রাসন, বন্ধ করো করতে হবে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। এ ছাড়াও তাদের হাতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও সৌদি আরবের দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করবে প্রতিনিধিদল। স্মারকলিপিগুলো বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় লেখা হয়েছে। 

ইসলামী ছাত্রশিবিরের জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমরা মুসলিম জাতি, খালিদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসূরি। কিন্তু আমরা তা ভুলে গেছি। আজ আমরা শুধু ফতোয়াবাজিতে ব্যস্ত। এরই সুযোগে ইহুদি-খ্রিস্টানরা মুসলিম ভাই-বোনদের হত্যা করছে। আমি মুসলিম যুবকদের জাগরণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, “যদি গাজার ফিলিস্তিনদের উপর বর্বরতা বন্ধ না হয়, তাহলে জাতিসংঘের অফিসে পরের সপ্তাহে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। আমরা শিক্ষক সমিতি গাজায় গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

এর আগে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’র প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংহতি সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।

তিন দফার মধ্যে রয়েছে—গাজায় বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানানো, মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে লংমার্চ ও স্মারকলিপি দেওয়া এবং দেশে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ