মোংলা বন্দরে দিয়ে প্রথমবার আমদানি হলো পাকিস্তানের চিটাগুড়
Published: 6th, February 2025 GMT
ভারত ৫০ শতাংশ রপ্তাণি শুল্ক বৃদ্ধি করায় বিকল্প ও সহজলভ্য হিসেবে পাকিস্তান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার চিটাগুড় (চারণকারী প্রাণীদের শক্তির উপকরণ) আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার বিকেলে মোংলা বন্দরের ৮নম্বর জেটিতে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এম,টি ডলফিন-১৯। জাহাজটি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্টিক টন চিটাগুড় নিয়ে আসে। এদিন সন্ধ্যা থেকে ওই জাহাজটি হতে এসব চিটাগুড় খালাস শুরু হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো.
এদিকে পাকিস্তান থেকে প্রথমবারের মতো চিটাগুড় আমদানি হওয়ায় বিদেশি জাহাজটির ক্যাপ্টেন, নাবিক, আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্ট প্রতিনিধিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় মোংলা বন্দরের জেটিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই এই বন্দরের মাধ্যমে সর্বপ্রথম গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি এবং ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো হিমায়িত ফল আমদানি শুরু হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রথম ৭ মাসে মোংলা বন্দরে ৪৯৬টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন করে। ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে ২৩টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ থেকে ১২ হাজার ৮৩ টিইইউজ কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং এবং ১২টি গাড়ির জাহাজ থেকে ৬ হাজার ৭৫১ ইউনিট রিকন্ডিশন গাড়ি খালাস করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল