মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ একদল ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙচুর করে তারা। এর আগে শহরের পুরান বাজার এলাকায় একত্রিত হয়ে মিছিল বের করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।

বিক্ষুব্ধদের দাবি, স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এটি তাদের কঠোর কর্মসূচি। স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে। আবারও তারা স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই প্রতিবাদী জনগণ স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে দিতে এই আয়োজন করেছে। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধরা।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহাদাত হাওলাদার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক বেপারী, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু, শ্রমিকদল নেতা সেলিম মুন্সী, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান মিলনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত ১৭ বছর হত্যাসহ নির্যাতন চালিয়েছে। তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজকের ছাত্র জনতা শেখ হাসিনা, শেখ মুজিবের বিভিন্ন জায়গায় ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনা চাইতেছে না। তাই সব ভেঙে দিয়েছে। যতদিন তাদের চিহ্ন থাকবে ততদিন যুবদল ছাত্রদল রাজপথে থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ও পাটের গুদামে ভাঙচুর

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর শুরু করেছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এই ভাঙচুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জমায়েত হয়ে দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট এলাকায় রেস্টহাউসটি ভাঙচুর শুরু করেন। ‘স্বৈরাচারের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’, ‘খুনি হাসিনার আস্তানা, গুঁড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রড, শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে রেস্টহাউসটি ভাঙা হয়। রেস্টহাউসের গ্রিল, লাইট, দরজা, কমোড খুলে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা। উত্তেজিত জনতা সেখানে থাকা পাটের গুদামেও ভাঙচুর চালান।

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত শেখ হাসিনার রেস্টহাউস ভাঙচুর করছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ভাঙ্চুরের ঘটনার সূত্রপাত হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ