দেশের বাজারে ‘রেডমি ওয়াচ ৫ অ্যাকটিভ’ ও ‘রেডমি ওয়াচ ৫ লাইট’ মডেলের নতুন স্মার্টঘড়ি এনেছে শাওমি বাংলাদেশ। দুটি স্মার্টঘড়িতেই রয়েছে ডাইনামিক হেলথ ও ফিটনেস ট্র্যাকিং সুবিধা। হৃৎস্পন্দন ও অক্সিজেনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম স্মার্টঘড়িগুলোতে রানিং, ওয়াকিং, সাইক্লিং, রোয়িং, সুইমিংসহ ১৪০টিরও বেশি মোড রয়েছে। স্মার্টঘড়িগুলোর দাম যথাক্রমে ৪ হাজার টাকা এবং ৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে শাওমি বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেডমি ওয়াচ ৫ অ্যাকটিভ এবং রেডমি ওয়াচ ৫ লাইট মডেলের স্মার্টঘড়ির পর্দার আকার যথাক্রমে ২ ইঞ্চি এবং ১.

৯৬ ইঞ্চি। দুটি স্মার্টঘড়িতেই ডুয়েল-মাইক্রোফোন নয়েজ রিডাকশন এবং ব্লুটুথ কলিং সুবিধা রয়েছে। ফলে সময় দেখার পাশাপাশি স্বচ্ছন্দে কথা বলা যায়। শুধু তা–ই নয়, পানিরোধী হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে বা সাঁতার কাটার সময় নষ্ট হয় না।  

আরও পড়ুননিজেদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি আনল শাওমি, দাম কত জানেন২৯ মার্চ ২০২৪

৪৭০ এমএএইচ ব্যাটারি সুবিধার স্মার্টঘড়িগুলো একবার চার্জে টানা ১৮ দিন ব্যবহার করা যায়। এর ফলে বারবার চার্জ দেওয়ার ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহারকারীরা তাঁদের দৈনন্দিন কাজগুলো সহজে করতে পারবেন। হাইপারওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টঘড়িগুলো সহজেই শাওমির তৈরি বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত করে ব্যবহার করা যায়।

আরও পড়ুনএকবার চার্জ করে প্রায় ২৩ ঘণ্টা ভিডিও দেখা যায় এই ফোনে০৭ অক্টোবর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রমজানে ৯০০ বছর ধরে কোরআন তিলাওয়াতের ঐতিহ্য তুরস্কের যে মসজিদে

রমজানের ‘মুকাবেলে’ অনুষ্ঠান মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। একাধিক ব্যক্তির একে অন্যকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনানোর বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হয় মুকাবেলে। ৯০০ বছর ধরে এই পদ্ধতিই চালু রয়েছে তুরস্কের ঐতিহাসিক সালাহউদ্দিন আইয়ুবী মসজিদে। খবর ডেইলি সাবাহর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরাবরের মতো এবারের রমজানেও তুরস্কের শতাব্দী প্রাচীন এই মসজিদে কোরআন তিলাওয়াতের ঐতিহ্য অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের দিয়ারবাকিরের সিলভান জেলায় অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন সালাহাদ্দীন আইয়ুবী মসজিদটি নয় শতাব্দী ধরে মুকাবেলের ঐতিহ্য পালন করে আসছে। ১১৮৫ সালে নির্মিত মসজিদের প্রবেশপথের শিলালিপি অনুসারে, পবিত্র রমজান মাসে দুপুর ও বিকেলের (যোহর ও আসর) নামাজের পর মসজিদে মুকাবেলে অংশগ্রহণকারীরা মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) সুন্নাহের ওপর ভিত্তি করে এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন।

মুকাবেলের সময় ইবাদতকারীরা ধর্মীয় কর্মকর্তাদের কোরআন তিলাওয়াত অনুসরণ করেন এবং যারা তিলাওয়াত জানেন না তারা আয়াত পাঠ করা শোনেন। সিলভান জেলা মুফতি মুরাত ডেমির বলেছেন, মসজিদটিতে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্যই ভিড় হয়, বিশেষ করে দুপুর এবং বিকেলের নামাজে আরও বেশি লোক উপস্থিত হয়।

তিনি বলেন, এই মসজিদটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্থান। এর প্রায় এক হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। কিছু সূত্র অনুসারে, ১০৩১ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল, আবার অন্যরা ইঙ্গিত দেয় যে এটি আরতুকিদ আমলে নির্মিত হয়েছিল, যার রেকর্ড ১১৫২ সাল থেকে রয়েছে। পরবর্তীতে আইয়ুবী আমলে সালাহাদ্দিন আইয়ুবী মসজিদটি সংস্কার করেন, যার কারণ মসজিদটি তার নামই বহন করছে।

দোকানদার মুস্তাফা ডেমিরার তার প্রবীণ ও পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে মসজিদ সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, মসজিদটি ৮৫০ থেকে ১০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইবাদতের জন্য উন্মুক্ত। আমরা এখানে আমাদের নামাজ, রমজানে মুকাবেলে, তারাবিহের নামাজ এবং অন্যান্য পবিত্র দিনগুলোতে আমাদের ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে চলেছি। আমরা আশা করি, আমাদের মতো তরুণ প্রজন্মও প্রবীণদের কাছ থেকে শিখবে এবং এই মসজিদে মুকাবেলে পড়ার এই ঐতিহ্য অব্যাহত রাখবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ