ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর করেন। এর আগে গত বছর জুলাই আন্দোলনের সময় প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভাঙচুর করা হয়েছিল।  

জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে শহরের সরিষা হাটির মোড় এলাকায় অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাততলা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় জেলা যুবদল মিছিল বের করে। পরে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে ভাঙচুর চালায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের পোস্ট অফিস পাড়ায় অবস্থিত সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ছাত্র-জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্লোাগান দিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দেয়াল ভেঙে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। স্থাপনায় হাতুড়ি, কুড়াল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ভাঙচুর করেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন তারা। পরে বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরে কার্যালয়ে বাইরে অবস্থান করে বক্তব্য দেন ছাত্ররা।  

এ সময় তারা বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে যে অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সাধারণ জনগণ শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কোনো চিহ্ন বাংলার মাটিতে রাখবে না। এ জন্যই বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। শেখ হাসিনা দেশব্যাপী যে ফ্যাসিবাদী চিহ্ন রেখে গেছে, আমরা তা নিশ্চিহ্ন করতে আজ এখানে একত্র হয়েছি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছাত্রদের, ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জনে জনে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা গেছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদেই ছাত্ররা এ কর্মসূচি পালন করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ছ ত র জনত আওয় ম এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা

গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের রেলগেটস্থ জেলা আওয়ামী লীগের আধপাকা টিনশেড কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে ভাঙা শুরু হয়।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৯টা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে। সাড়ে ৯টা থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে ভাঙা শুরু হয়। রাত সোয়া ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর চলছিল। 

এরআগে শহরের রেলগেট এলাকায় বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী মিছিল করে। পরে তারা স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের বিভিন্ন অংশ জানালা দরজা ও পুরো ভবন গুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

এ বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ