চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানায় করা জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ডা. কথক দাশের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহারিয়ার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যুক্তরাজ্য যাওয়ার চেষ্টাকালে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন কথক দাশ। তার পর বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে ঢাকায় গিয়ে হেফাজতে নেয়। 

চট্টগ্রাম মহানগর এপিপি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আসামি ডা.

কথক দাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‌‘জুলাই কমিউনিটি এলায়েন্স মিরপুর’র আত্মপ্রকাশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর মিরপুরে অংশগ্রহণকৃত ছাত্র-জনতাকে নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জুলাই কমিউনিটি এলায়েন্স মিরপুর’।

শুক্রবার মিরপুর-১ নম্বরে হযরত শাহ আলী (র.) মাজার কমপ্লেক্সে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে।

এ সময় জুলাইয়ের শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া এবং ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে কবি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মোহাম্মদ রোমেল বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটটা যেন জীবন্ত থাকে সে লক্ষ্যে আমরা মিরপুরের যারা এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম তারা যেন কাজ করে যেতে পারি সেজন্য এই জুলাই কমিউনিটি এলায়েন্স মিরপুরের যাত্রা। সামাজিক সেবামূলক ও সাংস্কৃতিক জায়গা থেকে কী কী করা যায় তা আমরা সবাই মিলে চিন্তা করে একে একে বাস্তবায়ন করব। জুলাইয়ের শহীদদের পরিবারগুলো কী অবস্থায় আছে, আহতরা এখন কীভাবে জীবন পার করছেন তা দেখার দায়িত্ব শুধু রাষ্ট্রের একার না। আমরা যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, সবারই কিছু না কিছু অবদান রাখার প্রয়োজন রয়েছে।”

হযরত শাহ আলী (র.) মাজারে প্রথম আয়োজন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রোমেল বলেন, “মাজার এমন একটি জায়গা যেখানে সব শ্রেণি, পেশা, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ আসেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও আমরা দেখেছি সব ধরনের মানুষ পথে নেমে এসে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। এক্ষেত্রে একটি মিল রয়েছে। এজন্য আমরা ভেবেছি মিরপুরের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং সব পেশার মানুষজনকে নিয়ে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করব, যাতে করে জুলাইয়ের স্পিরিট হারিয়ে না যায়।”

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গবেষক সাদিক এম আলম, উন্নয়ন গবেষক মোহাম্মদ আযম, স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী মাহবুব রতন, মিলন, সাংবাদিক তৌফিক হাসান, শরীফ খিয়াম আহমেদ, ইয়াসির আরাফাত ও লেখক উদয় হাসান প্রমুখ।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‌‘জুলাই কমিউনিটি এলায়েন্স মিরপুর’র আত্মপ্রকাশ