সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসের শুরুতে ২১ বিলিয়নের ঘরে উঠলেও মাসটির মাঝামাঝি সময়ে আকুর বিল পরিশোধের পর তা কমে ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে যায়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তা ২০ বিলিয়নের কাছাকাছি অবস্থান করে। অবশেষে আবারও বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে চলে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ২০ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারে উঠেছে। একই দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক হিসাব মতে, দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২ হাজার ৫৫৪ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯৭ কোটি (১৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন) ডলার। ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা হিসাব মতে, মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৩১ কোটি (২৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন) ডলার। সে হিসাবে গত ৬ দিনে বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয় না। সে হিসাবটি শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। ওই হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ১৫ বিলিয়নের ঘরে অবস্থান করছে।

এএ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

কাট্টলির আইপিও তহবিল তছরুপ, অভিযোগ দুদকে পাঠাবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২৫.০৪ কোটি টাকার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহিত তহবিল তছরুপের অভিযোগে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৫০তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড কর্তৃক কমপক্ষে ২৫.০৪ কোটি টাকার আইপিও তহবিল তছরুপের বিষয়টি দুদকে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটিকে এক মাসের মধ্যে লিস্টিং ফি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিকে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উক্ত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ২ লাখ টাকার অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। 

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কাট্টলি ২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৪ কোটি সংগ্রহ করেছিল। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থ হয়। আইপিও তহবিলের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খরচ বহন করার জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল তারা। ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে তহবিলটি ব্যবহার করার কথা ছিল কাট্টলির। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তারা আইপিও তহবিলের মাত্র ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে।

কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতা জানতে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত গঠন করে বিএসইসি। কমিটিতে ছিলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান।
 

ঢাকা/এনটি//

সম্পর্কিত নিবন্ধ