বিপিএলের প্রাইজমানি ঘোষণা, ১০ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার
Published: 6th, February 2025 GMT
বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের প্রাইজমানি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ওই খবর বিসিবি আগেই দিয়েছে। টুর্নামেন্টের সেরা দুই দলের সঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ সেরা দলের জন্যও রাখা হয়েছে অর্থ পুরস্কার। আগের আসরগুলোতে তৃতীয় ও চতুর্থ সেরা দল কোন প্রাইজমানি পেত না।
বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ, তৃতীয় ও চতুর্থ সেরা দল ছাড়াও ছয় ক্যাটাগরিতে অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। মোট ১০ ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে প্রাইজমানি।
বৃহস্পতিবার এক বার্তায় বিসিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিসিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আসরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে আড়াই কোটি টাকা। রানার্স আপ দল পাবে দেড় কোটি টাকা। এই বিভাগে ৫০ লাখ টাকা করে প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে।
টুর্নামেন্টের তৃতীয় সেরা দল হয়েছে খুলনা টাইগার্স। তারা পাবে ৬০ লাখ টাকা। চতুর্থ সেরা দল রংপুর রাইডার্সকে দেওয়া হবে ৪০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার। এছাড়া ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার ৫ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার পাবেন। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার পাবেন ১০ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ৫ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার পাবেন। নাঈম শেখ ৫১১ রান করে সবার ওপরে আছেন। তাকে ছাড়িয়ে ওই পুরস্কার অন্য কারো পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। চট্টগ্রামের গ্রাহাম ক্লার্ক ১২৫ ও বরিশালের তামিম ইকবাল ১৪৩ রানের ইনিংস খেলতে পারলেই কেবল নাঈমের সর্বোচ্চ রানের পুরস্কার ছিনিয়ে নিতে পারবেন।
টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারি পাবেন ৫ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার। তাসকিন আগমেদ ২৫ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আছেন। ২০ উইকেট আছে আরও চার জনের। তারা হলেন- ফাহিম আশরাফ, আকিফ জাভেদ, খালেদ আহমেদ ও খুশদীল শাহ। তবে খালেদ ছাড়া কারো সামনে তাসকিনকে পেছনে ফেলার সুযোগ নেই। সেজন্য ফাইনালে খালেদকে নিতে হবে ৬ উইকেট!
এছাড়া ইমার্জিং ক্রিকেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট বা বিপিএলের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের জন্য রাখা হয়েছে পুরস্কার। ওই ক্যাটাগরিতে জয়ী পাবেন ৩ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার। টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডারের জন্য ৩ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার রাখা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা জরুরি
স্থানীয় হোক, আর বিদেশি হোক– সকল বিনিয়োগকারীর জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নীতির ধারাবাহিকতা সবচেয়ে জরুরি। অন্যদিকে নীতি যা আছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় রাখাও খুব প্রয়োজনীয় বিষয়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে এমন মত দেন বক্তারা।
তাদের মতে, এ দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় বাধা নীতির ধারাবাহিকতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকা। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতাসহ আরও কিছু বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
সেমিনারে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখনকার বিভিন্ন নীতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিনিয়োগ-সংক্রান্ত ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর সমাধান করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, কেন বাংলাদেশে বিদেশিরা বিনিয়োগ করবে– এ প্রশ্ন সবসময় আসে। এর উত্তরে তাঁর বক্তব্য হলো, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবম ভোক্তা বাজার হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের শক্তিশালী জনবল আছে। বিনিয়োগবান্ধব নীতি আছে।
গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। বিনিয়োগকারীরা নীতির ধারাবাহিকতা চান। হঠাৎ নীতির পরিবর্তনকে তারা বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখেন। তাঁর মতে, এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে নীতির সমন্বয় নেই। বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যেও সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রয়োজন। শিল্পায়ন থেকে শুরু করে সব জায়গায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির ব্যবহার করতে হবে।
বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করানোর উদ্যোগের উপায় প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিনা শুল্কে সুতা আমদানি করে। এটি অব্যাহত রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের উচিত পণ্য ধরে ধরে আলোচনা করা।
আমরা কি আসলেই বিনিয়োগ বান্ধব হতে পেরেছি– এমন প্রশ্ন রেখে এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রশ্ন আসে বাংলাদেশে কেন বিনিয়োগ করব। বিনিয়োগকারীদের অনেক বিকল্প আছে। ভারত, চীন ও মালয়েশিয়া তাদের বড় বিকল্প। এখন আমাদের প্রয়োজন নীতির প্রাসঙ্গিকতা। নীতির বাস্তবায়ন।’
জাপান-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, যারা ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের প্রতি নজর বাড়াতে হবে। তাদের সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করা সম্ভব।
বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বলেন, বাংলাদেশে ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’ খুবই কম। যারা আছে তাদের নিবন্ধন জটিলতা অনেক বেশি। বিএসইসিসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। তবে বিডা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। এর মাধ্যমে নিবন্ধন আগের চেয়ে সহজ হয়েছে।