সাইফের হামলাকারীকে চিহ্নিত করলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
Published: 6th, February 2025 GMT
বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনা করে নতুন সামনে এসেছে। পুলিশের দাবি, এ মামলার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি রাতে প্রত্যক্ষদর্শীদের দিয়ে শনাক্ত করানো হয়েছে। সাইফ মামলার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী জেহর আয়া এবং নার্স এলিয়ামা ফিলিপে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে কারাগারে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র। আর তাঁরা নিশ্চিত যে শরিফুলই সাইফের ওপর হামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুনহামলার ঘটনার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে সাইফ, বললেন...০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৬ জানুয়ারি রাতে সাইফ আলী খানের ওপর অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি হামলা করেছিলেন। এ হামলার অভিযুক্ত হিসেবে বান্দ্রা পুলিশ শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। চোরাই পথে তিনি ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। শরিফুল এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন। এখন তাঁর ঠিকানা মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল।
বুধবার আর্থার রোড জেলে সাইফ হামলার অভিযুক্ত শরিফুলের শনাক্তকরণ প্যারেডের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সাইফ-কারিনার বাসার পরিচারিকা, গৃহকর্মী এবং জেহর আয়া কারাগারে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। শনাক্তকরণ প্যারেডের সময় প্রায় একই চেহারার অন্য কয়েদিদের সঙ্গে শরিফুলকে দাঁড় করানো হয়েছিল।
অভিযুক্ত শরিফুল। এএনআইউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা নোটিশে পল্লী বিদ্যুতের চাকরিচ্যুত ২৮ কর্মীর চাকরি পুনর্বহালের দাবি
দমন পীড়ন ও নির্যাতন বন্ধ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ভুক্তভোগী কর্মকর্তা–কর্মচারী সমিতি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা এবং যৌথ বাহিনী দ্বারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেধড়ক মারধর ও ধরপাকড় করা হয়েছে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে সরকারের নিকট ৫টি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন সমিতির নেতারা। তাদের প্রত্যাশাগুলো হচ্ছে, মামলা প্রত্যাহারপূর্বক সব কর্মকর্তা–কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা। দ্বৈতনীতি পরিহারপূর্বক আরইবি–পবিস একীভূতকরণ। অবশিষ্ট চুক্তিভিত্তিক অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করণ করা। বিগত সময়ে আরইবি’র দুর্নীতিবাজদের শাস্তির জন্য নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা আরও বলেন, দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলে প্রায় ১৪ কোটি মানুষের বিদ্যুৎ সেবায় নিয়োজিত ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সীমাহীন দুর্নীতি, নিম্নমানের মালামাল ক্রয় ও নন-স্ট্যান্ডার্ড লাইন নির্মাণের কারণে সৃষ্ট গ্রাহক ভোগান্তি। মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও সব ধরনের পলিসি প্রণয়নসহ আরইবি-পবিস দ্বৈত ব্যবস্থাপনা নিরসনে গত বছর জানুয়ারি থেকে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং জরুরি সেবায় নিয়োজিত চুক্তিভিত্তিক, অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা হয়।
এসময় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে স্মারকলিপি প্রেরণ, বিভিন্ন দফায় গ্রাহক সেবা চালু রেখে কর্মবিরতি, লং মার্চ টু আরইবি, সারাদেশে একযোগে মানববন্ধন ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হয়। এ অবস্থায় যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে সরকারের পক্ষ থেকে গত বছর আগস্টে বিদ্যুৎ বিভাগ, আরইবি এবং পবিসের সমন্বয়ে ০৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতা না করে বিদ্যমান কাঠামো বহাল রাখার বিষয়ে মতামত দেয় আরইবি। পরবর্তীতে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করে সরকারের পক্ষ থেকে পুনরায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। প্রায় সাড়ে ০৩ মাস অতিবাহিত হলেও কমিটির প্রতিবেদন সম্পন্ন হয়নি।