ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২১ শিক্ষার্থীর টাঙ্গাইলে হেলিকপ্টার ভ্রমণ
Published: 6th, February 2025 GMT
ক্যাডেট কলেজে ভর্তির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া টাঙ্গাইলের শাহীন স্কুলের ২১ শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে করে টাঙ্গাইলের আকাশে ভ্রমণ করানো হয়েছে। পাখির চোখে টাঙ্গাইল শহর ও আশপাশের এলাকা দেখে কৃতী শিক্ষার্থীরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের এই হেলিকপ্টার ভ্রমণের আয়োজন করে টাঙ্গাইলের শাহীন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বেলা তিনটার দিকে শহরের ঈদগাহ মাঠে হেলিকপ্টার এসে পৌঁছায়। সেখানে আগে থেকেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা অপেক্ষা করছিলেন। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্চয় কুমার মহন্ত শিক্ষার্থীদের হেলিকপ্টার ভ্রমণের উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে চারজন করে শিক্ষার্থী হেলিকপ্টারে উড়ে ঘুরে দেখে টাঙ্গাইল শহর, যমুনা নদী ও আশপাশের এলাকা। ২১ জন শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে চারজনকে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়।
হেলিকপ্টার ভ্রমণ করে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলে, ‘হেলিকপ্টারে ওঠার পর ভয় ভয় লাগছিল, আবার মজাও লাগছিল। ওপর থেকে আমাদের শহর অনেক সুন্দর দেখা গেছে।’ অপর শিক্ষার্থী আরিফা বলে, ‘আকাশ থেকে আমাদের শহর দেখে খুব মজা পেয়েছি। বড় বড় বিল্ডিংগুলোকেও অনেক ছোট দেখা গেছে।’
শাহীন শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাছুদুল আমীন শাহীন বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের কথা দিয়েছিলাম, যারা ক্যাডেট কলেজের ভর্তির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তাদের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করাব। ওদের দেখে অন্যরাও যাতে ভালো ফলাফলে উদ্বুদ্ধ হয়, সে জন্য আমি এ আয়োজন করেছি।’
এর আগে সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে শাহীন শিক্ষা পরিবারের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা
গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের রেলগেটস্থ জেলা আওয়ামী লীগের আধপাকা টিনশেড কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে ভাঙা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৯টা থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হতে থাকে। সাড়ে ৯টা থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে ভাঙা শুরু হয়। রাত সোয়া ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর চলছিল।
এরআগে শহরের রেলগেট এলাকায় বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী মিছিল করে। পরে তারা স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের বিভিন্ন অংশ জানালা দরজা ও পুরো ভবন গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।