এবার গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো নাটোরের আ.লীগ অফিস
Published: 6th, February 2025 GMT
নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের আলোচিত ‘জান্নাতি প্যালেসে’ দ্বিতীয় বারের মত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর এবার জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের এ অস্থায়ী কার্যালয় ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়া ভেঙে ফেলা দলীয় কার্যালয়ের স্থানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘জুলাই স্মৃতি শিশুপার্ক’ করার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক ও দলীয় কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে নাটোরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার বিবৃতি কিংবা অপপ্রচার চালানো হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এসময় তারা দলীয় কার্যালয়টির স্থানে ‘জুলাই স্মৃতি শিশুপার্ক’ করার ঘোষণা দেন।
পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের আলোচিত ‘জান্নাতি প্যালেসে’ অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
বুয়েটের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নতুন নাম ‘স্বাধীনতা হল’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নারী শিক্ষার্থীদের নতুন হল ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা হল’ করা হয়েছে। বুধবার বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫৪৯তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এন. এম. গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি’ নির্ধারণ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে এটি প্রশাসন কর্তৃক স্বীকৃত নয়। এ ছাড়া বুয়েটে পলাশিতে অবস্থিত ইসিই ভবনের নামফলক থেকে শেখ হাসিনার নাম মুছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৪৯তম অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা হল’ করা হলো।
এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের’ নামফলক ভেঙ্গে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’–নাম দিয়ে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। এ ছাড়া অমর একুশে হল এবং বিজয় একাত্তর হলে নামফলকে থাকা শেখ হাসিনার নাম মুছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। হলগুলো উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা, ফলে উদ্বোধনী নামফলকে তার নাম লেখা ছিল।
তবে এটি প্রশাসনিকভাবে স্বীকৃত নয় জানিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমকালকে বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। ছাত্রদের দাবি আছে, প্রশাসন বিষয়টি অবগত। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’