রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিকিৎসক গ্রেপ্তার, দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
Published: 6th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কথক দাশ নামের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে যাওয়ার সময় অভিবাসন পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। চট্টগ্রামে আনার পর আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আবেদনের শুনানি শেষে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নগরের কোতোয়ালি থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের পতাকা উত্তোলন করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জিভের জড়তা কাটাতে মুসা (আ.) যে প্রার্থনা করেছিলেন
মুসা (আ.) তার শৈশবকাল তৎকালীন মিশরের রাজা ফেরাউনের বাড়িতে কাটিয়েছিলেন। শৈশবে তার সামনে খেজুর ও আগুনের অঙ্গার রাখা হয়েছিল। তিনি অঙ্গার উঠিয়ে নিয়ে মুখে পুরে দেন। ফলে তাঁর জিহ্বায় আড়ষ্ট হয়ে যায়।
কিন্তু ফেরাউনের কাছে আল্লাহর বাণী নিয়ে যাবার নির্দেশ যখন মুসাকে (আ.) আল্লাহ দিলেন, তখন তিনি তাঁর কাছে প্রার্থনা জানালেন, ‘রাব্বিশ রাহলি সাদরি ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি..’ অর্থাৎ. ‘হে আমার প্রতিপালক আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও, আর আমার কাজ সহজ করে দাও। আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও। যাতে ওরা আমার কথা বুঝতে পারে। আর আমার আত্মীয়দের মধ্য থেকে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী দাও।’ (সুরা তাহা, আয়াত: ২৫-২৯)
যেমন ফেরাউন বলেছিল আমি উত্তম, না এই ব্যক্তি? সে তো গরিব ও তুচ্ছ। সে তো স্পষ্টভাবে কথাও বলতে পারে না।
আরও পড়ুনইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরামের ফজিলত১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫হাসান বসরি (র.) বলেন যে, হজরত মুসা (আ.) জিহ্বার জড়তা কাটানোর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, তা কবুল হয়েছিল। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হজরত মুসার (আ.) এই ভয় ছিল যে, না জানি হয়তো ফেরাউন তার ওপর হত্যার অভিযোগ এনে তাকে হত্যা করে ফেলে। তার জিহ্বায় জড়তা ছিল তা তিনি জড়তা পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন যাতে লোকেরা তার কথা বুঝতে পারে। তার দোয়া কবুল হয়।
তারপর তিনি দোয়া করেন যে, তার ভাই হারুন (আ.)-কে যেন নবী করে দেওয়া হয়। তাঁর এই দোয়া আল্লাহ মঞ্জুর করেন। উরওয়া (রা.) থেকে জানা যায় যে, একবার আয়েশা (রা.) ওমরাহ করতে যান। তিনি একজন বেদুঈনের বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। শুনতে পান যে, একজন লোক প্রশ্ন করল দুনিয়ায় কোন ভাই তার নিজের ভাইকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত করেছিলেন? তার এই প্রশ্ন শুনে সবাই নীরব হয়ে যায় এবং বলে আমাদের এটা জানা নেই। ওই লোকটি তখন বলে আল্লাহর শপথ, আমি ওটা জানি, তিনি হলেন হারুন (আ.), যিনি নবুয়তের প্রচারে তার ভাই মুসার (আ.) সহযোগী ছিলেন।
আরও পড়ুনসুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বিশেষ ফজিলত০৭ মার্চ ২০২৫