আইনজীবী তৌফিকা করিম ও সাবেক সংসদ সদস্য উশৈসিংয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
Published: 6th, February 2025 GMT
আইনজীবী তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিংসহ তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলাদা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ মো. জাকির হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এসব আদেশ দেন।
আইনজীবী তৌফিকা করিমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
দুদক আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, তৌফিকা করিম সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত। তিনি তদবির–বাণিজ্যসহ দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে আরও বলা হয়েছে, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তৌফিকা করিমের একটি বাড়ি আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেটার অর্থমূল্য ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে তাঁর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ২৩ কোটি টাকা গচ্ছিত রাখার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিনি সিটিজেন ব্যাংকে আরও পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
তৌফিকা করিম বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত তৌফিকা করিমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
সাবেক সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিংসহ তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.
বীর বাহাদুর উশৈসিংসহ পাঁচজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক।
আবেদনে বলা হয়েছে, বীর বাহাদুর উশৈসিং দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, যা অনুসন্ধান করছে দুদক। তিনি সপরিবার দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।
এ পরিস্থিতিতে শুনানি নিয়ে আদালত তাদের প্রত্যেকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র কর ছ ন কর ম র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘জাতীয়তাবাদী চালক দলের’ জুয়েল ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ঢাকার গুলশানে একটি বাড়ি লুট করতে যাওয়া কথিত ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকার ও তাঁর ছেলে শাকিল খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর বাদী হয়ে আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন। আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ৪ মার্চ ঢাকার গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসা লুট করার বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। তিনি কথিত ভুয়া ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খন্দকারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফরমের একজন আইনজীবী মামলা করেছেন।
কায়সার কামাল আরও বলেন, ভবিষ্যতে যারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ভুয়া সংগঠন কিংবা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে, তাদের বিরুদ্ধেও একই রকমের আইনগত ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, আসামি জুয়েল খন্দকার ও শাকিল খন্দকাররা জালিয়াতির মাধ্যমে কথিত জাতীয়তাবাদী চালক দল নামে ভুয়া সংগঠন তৈরি করেন। একই সঙ্গে তাঁরা ‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ৪ মার্চ ঢাকার গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসা লুট করেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের নজরে আসে।
প্রথম আলো অনলাইনে ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল কীভাবে এল, নেতা কারা’ শিরোনামে ৯ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ‘অবৈধ অস্ত্র ও ছাত্র-জনতার হত্যাকারীরা’ লুকিয়ে আছে—এমন কথা রটিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ঢাকার গুলশানে একটি বাড়ি লুট করতে যায় একদল লোক। ৪ মার্চ মধ্যরাতে এ ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন জুয়েল খন্দকার নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে ‘জাতীয়তাবাদী চালক দল’-এর সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দেন।
আরও পড়ুনজাতীয়তাবাদী চালক দল কীভাবে এল, নেতা কারা০৯ মার্চ ২০২৫গুলশানে বাড়ি লুটের ঘটনায় জুয়েল খন্দকার, তাঁর ছেলে শাকিল আহমেদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর জুয়েলকে জাতীয়তাবাদী চালক দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন।