উত্তরবঙ্গ কৃষক সমাবেশ কেন দরকার ছিল
Published: 6th, February 2025 GMT
মানুষ সংগ্রাম চালিয়ে যায়। স্থান-অঞ্চল ছাপিয়ে তা কদাচিৎ সব মানুষের গণ–অভ্যুত্থান হয়ে ওঠে। তখন মানুষ নিজের জীবন পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখে। আশায় বুক বাঁধে। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান আশাবাদের ঢেউ জাতির মধ্যে জাগিয়ে দিয়েছে। কৃষকেরাও সেই আশায় বুক বেঁধেছেন। কিন্তু তাঁদের কথা বলবে কে? প্রান্ত থেকে তাঁদের দুর্দশার কথা কীভাবে পৌঁছাবে কেন্দ্রে? এই কথাগুলো দাবি করে তোলার জন্য গত ২৬ জানুয়ারি চিলমারীতে ছিল কৃষক মহাসমাবেশ। সেখানে অনেক কথা বলার ছিল সর্বার্থে প্রান্তে বাস করা এই মানুষগুলোর। সেসবের কিছু অগ্রগণ্য চাওয়া তুলে ধরা যাক।
হাট ও ঘাট থেকে জমিদারি প্রথার উচ্ছেদগত বছরের ঘটনা। ফিরছিলাম গরুর হাট হয়ে। সেখানে কয়েকজন গরু ক্রেতার কাছ থেকে খাজনার রসিদের ফটো ও ক্রেতার ভিডিও রেকর্ড নিই। দেখে ফেলেন ইজারাদারের লোক। জোর করে ভিডিও ও ফটো মুঠোফোন থেকে মুছে দেন। সেখান থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে ফিরতি একটি গরুবাহী ভটভটির লোকদের সঙ্গে কথা বলি। গরুর পাইকার উলিপুর ধামশ্রেণির ব্যাপারী আবুল কাশেম (৬৫) ও উলিপুর সদরের আমিনুল(৫০)। তাঁরা খাজনার রসিদ দেখান। রসিদে গরুর মূল্য লেখা ৫০ হাজার, কিন্তু খাজনার ঘর ফাঁকা। তাঁরা জানান, বিক্রেতার কাছ থেকে খাজনা নিয়েছেন ৩০০ টাকা এবং তাঁদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা।
পরে রসিদের ছবি ফেসবুকে দিলে পোস্টে কড়াই বরিশাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাদাকাত হোসেন (৪৫) জানান, ‘উত্তরবঙ্গের বৃহত্তর হাট জোড়গাছের এখন সুনামের পরিবর্তে দুর্নামে ভরপুর।’ হাসান আল নাহিদ লিখেছেন, ‘এরা সংখ্যায় বেশি, যা জুলুম করে তা-ই মানতে বাধ্য হয়।’
চিলমারী বন্দর থেকে রৌমারী। একটি ৪০ হাত নৌকা। একবারে যাত্রী পারাপার সম্ভব ১৫০ জনের। সোয়া ঘণ্টার পথ। একই শক্তির শ্যালো ইঞ্জিন একটি ভটভটি একই সময়ে চিলমারী বন্দর থেকে কুড়িগ্রাম শহরে যায় ১০ জন যাত্রী নিয়ে। ভাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা। তাহলে ১০ গুণ যাত্রী নিয়ে নৌকা চললে ভাড়া হওয়ার কথা ৫ টাকা। সেখানে ১০০ টাকা ভাড়া কেন? বাড়তি ৯৫ টাকা নৌযাত্রীরা কেন দেবেন?
পাকিস্তান আন্দোলনের ভিত্তি ছিল জমিদারি উচ্ছেদ। কৃষকেরা যে হাটে কৃষিপণ্য কেনাবেচা করেন, সেটা নিয়েও ব্যাপক আন্দোলন ছিল। জমিদারের হাটের খাজনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষকেরা নিজেরা হাট বসিয়েছেন। নৌপথে খাজনার অত্যাচারে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার ঘটনা আছে। হাট ও ঘাট থেকে ইজারার নামে জমিদারি প্রথাটি রয়ে গেছে। ফলে সড়কপথের চেয়ে নৌপথে তেল-মবিল খরচ কম লাগলেও সড়কপথের চেয়ে নৌপথে ভাড়া দু–তিন গুণ গুনতে হয়।
কৃষকের সঙ্গে আলোচনা করে কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণব্রহ্মপুত্রের শাখাহাতী চরের মিলন মিয়া (৪০) তিনি নিয়ে এসেছেন ১০ মণ কাঁচা বাদাম। প্রতি মণ তিন হাজার টাকা দরে বিক্রির আশা থাকলেও তা দুই হাজারের ওপরে দাম বলছেন না ব্যবসায়ীরা। হতাশা নিয়ে তিনি বলেন, আবাদে যা খরচ হয়েছে, তা–ই উঠবে না। লাভ তো দূরের কথা। বাড়ির সবাই মাঠে খেটে ছয় বিঘা জমিতে বাদাম চাষে এবার খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকার মতো। বাদাম হয়েছে ৩০ মণ। প্রতি মণ গড়ে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করলে আবাদের খরচই ওঠে না। মাঝখানে বন্যায় কিছু খেয়ে গেছে। কামলা খরচ বাদ দিয়ে হিসাব করলেও লস। সব জায়গাতেই কৃষকদের বিপদ।
বাজারে নতুন আলু এখন ১৫ টাকা। অথচ বীজ আলু কৃষকেরা কিনেছেন ২ হাজার টাকা মণ। অর্থাৎ ৫০ টাকা কেজি। সঙ্গে বিষ, বীজ, কামলা খরচ তো আছেই। কৃষকের ঘরে আলু। কোল্ডস্টোরগুলো যেখানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা গত বছর ভাড়া নিয়েছে ৩০০ টাকা। এ বছর ৪০০ টাকা নিচ্ছে। কৃষকের লাভ কে খায়?
শিল্পপণ্যের দাম নির্ধারণ করেন শিল্পপতিরা। এটা সারা দুনিয়াতেই হয়। সেই শিল্পোন্নত দেশগুলোতে কৃষিপণ্যের দামটি নির্ধারণ করেন সেখানকার কৃষকেরা। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষকেরা তা পারেন না। কৃষক যে ট্রাক্টর, বীজ কেনেন, তা কোম্পানির নির্ধারিত মূল্যে। আর কৃষক নিজের উৎপাদিত পাট, তুলা, বাদাম, ধানের দামটা নির্ধারণ করতে পারেন না। চাষিদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারিভাবে কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করার দাবি কি খুব অপ্রাসঙ্গিক?
রেশম ও এন্ডি পোকার লার্ভা খোলাবাজারে বিক্রির ব্যবস্থারেশম উৎপাদনব্যবস্থা একাধারে কৃষি ও কুটির শিল্প—দুটোই। আগে কৃষকেরা অন্যান্য আবাদের সঙ্গে তুঁতগাছের চাষ করতেন। পাতা খাইয়ে রেশম পোকা পালন করতেন নিজের ঘরে। এই পোকা পালনই হলো কুটির শিল্প।
কিন্তু এখন চাইলেই যে কেউ রেশম চাষ করতে পারবে না। যখন রেশম বোর্ড প্রকল্পের নামে বাজেট পাবে, তখন তারা নিবন্ধিত কৃষকদের চারা, লার্ভা ও উৎপাদনের পুরো খরচ দেবে। চারা লাগানোর জন্য দুবারে মোট ২৫ হাজার ও ঘর তোলার জন্য ১ লাখ টাকা দেবে। একজন নিবন্ধিত কৃষকও চাইলে এক বিঘার বেশি আবাদ করতে পারবেন না। একজন কৃষককে মাত্র ১ বিঘা জমির জন্য যতটুকু রেশম পোকার লার্ভা লাগবে, ততটুকুই দেওয়া হবে।
লার্ভা কেন খোলাবাজারে সবার জন্য বিক্রি হয় না। কর্তারা জানিয়েছেন, লার্ভাগুলো ফ্রিজে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়। আগে যখন ফ্রিজ ছিল না, তখন আমাদের কৃষকেরা রেশম উৎপাদন কেমন করে করতেন? অর্থাৎ সরকারগুলো নিজেই রেশম উৎপাদনকে মুক্ত করে না দিয়ে আটকে রেখেছে।
শুধু ইলিশ নয়, সব মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরাচিলমারীর জেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) বলেন, ‘ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম, মাছ ধরা বন্ধ। লাভ কার? যারা ইলিশ সারা বছর ধরে তাদের। কিন্তু হামরা রুই-কাতলা, বাগাড়.
মানে ফাল্গুন-চৈত্রে নদ-নদী শুকাতে থাকে। তখন চরের মাঝখানে নিচু জলাভূমি তৈরি হয়। এর তিন দিকে চর, আরেক দিক নদীর স্রোতের সঙ্গে যুক্ত। একে বলে কোলা। একেকটা কোলা একেকটা হালদা নদীর মতো মিঠাপানির মাছের আধার। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে যখন নদীর পানি কমতে শুরু করে, তখন পৈরালী (বৈরালী), কালবাউশসহ কয়েক জাতের মাছ কোলাগুলোতে ঢুকে ডিম পাড়ে। একেকটি কোলায় প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ থাকে। এক একর আয়তনের পুকুরে এক বা দুই প্রজাতির মাছ থাকে। একপর্যায়ে প্রভাবশালীরা কোলার ইজারা নিয়ে মুখ বন্ধ করেন। তারপর কেউ বিষ দিয়ে মাছ মারেন। কেউ কাঁথা জাল দিয়ে কোলা সেচে ফেলেন। এতে মাছ ও সব কীটপতঙ্গ ঝাড়ে-বংশে নিপাত হয়।
মাছের এই একক চাষ প্রকৃতিতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। জেলেরা এটা জানেন। তাঁদের জীবনদর্শনও এই যে তাঁরা প্রকৃতিকে খণ্ড খণ্ড করে দেখেন না। তাঁরা জানেন, মাছ যখন আহরণ থেকে চাষে পরিণত হয়, তখন জীবনও বদলে যায়।
চরের ভাঙন রোধে বিন্নার বেষ্টনীচরগুলোতে কোটি টাকা খরচ করে ভবন নির্মাণ করা হয়। এনজিওরা বাড়ি–ভিটা উঁচু করে। চরের এজমালি জমি দখল করেন চেয়ারম্যানের লোকেরা। কিন্তু চরগুলোকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার কথা কেউ বলে না।
বাংলাদেশে সচরাচর যেসব বিন্না ঘাস চোখে পড়ে, সেগুলোর শিকড় ছড়িয়ে যায়, সোজা গভীরে যায় না। ফলে এগুলো নদীভাঙন ঠেকাতে অক্ষম। অথচ শিলিগুড়িতে তিস্তার ভাঙন ও পাহাড়ধস ঠেকিয়ে রাখে। কারণ, শিলিগুড়ির বিন্না ঘাস সোজা ২০ ফুট পর্যন্ত গভীরে চলে যায়। ইরি ধান লাগানোর মতো করে চারা রোপণ করা গেলে এক বছরেই ঘন বেষ্টনী তৈরি হয়। পাহাড়ের পার্শ্বঢাল রক্ষায় এই বিন্না ঘাসের জুড়ি নেই। গবেষকেরা জানিয়েছেন, বিন্নার তিনটা শিকড় ১ সুতি লোহার সমান শক্ত। লোহা ক্ষয় হয়, এটা দিনকে দিন মজবুত হয়।
নগরীর টাইগারপাস ও লালখান বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত বাটালি হিলের মিঠাপাহাড়ের পাদদেশে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে এই ঘাস লাগানোও সফল বলে প্রমাণিত হয়।
এই পাহাড়ি বিন্না ঘাস পাহাড়ের ধস ঠেকাতে পারলে নদীভাঙন তো সহজ। এর বিস্তার করতে পারলে গরু-মহিষের এজমালি গোচারণভূমির কাজও হবে। এতে ভূমিহীনেরা গরু-মহিষ পালন করতে পারবেন। চরাঞ্চলের চতুর্দিকে ৪০–৫০ হাত প্রশস্ত বেষ্টনী প্রাকৃতিক বনের অভাবও পূরণ করবে। চরের নারীদের কুটির শিল্পের মাধ্যমে বাড়তি আয়ের রাস্তা তৈরি হবে। নদ–নদীর বাস্তুসংস্থানও ঠিক থাকবে। পাখপাখালির ঠাঁই হবে। বাহাত্তরের সংবিধান ৩ ধরনের মালিকানার স্বীকৃতি দিয়েছে। রাষ্ট্রীয়, সমবায় ও ব্যক্তি মালিকানা। কিন্তু এগুলোর বাইরে সামাজিক মালিকানা বলে একধরনের মালিকানা আছে। অবাঙালি জাতিগুলোতে এটা চালু আছে। তাদের এই সামাজিক মালিকানার সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকা উচিত।
আরও রয়ে গেলএ তো গেল কিছু বড় ব্যাপার। এ ছাড়া গরিব মানুষের প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধের দিকে কে তাকাবে? চরাঞ্চলে ভুয়া ভূমিহীনদের হাত থেকে খাসজমি দখলমুক্ত করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে তা বিতরণ; আন্তনগর ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য তিনটি সুলভ বগি সংযুক্ত করা দরকার। পচনশীল কৃষিপণ্য বহনকারী যানবাহনকে রাস্তায় ও ফেরীতে আগে যেতে দেওয়া; আখ ও বিট চিনির আবাদ বাড়িয়ে সব চিনিকল সংস্কার করে চালু করা চাই। কৃষকের গুড় উৎপাদনের স্বাধীনতাদানে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের আখমাড়াই আইন এখনো রয়ে গেছে। মহাজনি প্রথা থেকে লবণচাষিদের রক্ষা করতে মিলমালিকদের পক্ষে সরাসরি ক্রয়কেন্দ্র খোলা তো আশু করণীয়।
আইন-আদালত তো এই গরিবদের পক্ষে না। গোবিন্দগঞ্জে দেখেছি, পুলিশ সাঁওতাল কৃষকদের কুঁড়েঘরে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। সেই মামলায় উল্টো কৃষকেরা কোর্টের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দিনাজপুরের ফুলবাড়িরও একই ঘটনা। গত বছর করোনার সময় চিলমারীর একজন কৃষককে ১০ হাজার টাকা ঋণের কারণে ২৫ বছর পর মধুপুর এলাকা থেকে পুলিশ ধরে এনে জেলে ঢুকিয়েছে। হাজার হাজার কৃষক অনাদায়ি কৃষিঋণের দায়ে এলাকাছাড়া। সেই ঋণ আদায়ে মামলা ও গ্রেপ্তারের আইন বাতিল করে সব ধরনের ক্ষুদ্র কৃষিঋণ মওকুফ করা উচিত।
সহস্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে সংগঠিত গণ–অভ্যুত্থানের পর এই দাবিগুলো কি খুব বেশি চাওয়া?
নাহিদ হাসান আহ্বায়ক, কৃষক মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন গণকমিটি
[email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: খ জন র র জন য উৎপ দ ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’
ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।
একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’
এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।
মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’