শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বুধবার রাতে সাভার পৌর এলাকার মারুফ চত্বরে (মুক্তির মোড়) অবস্থিত ম্যুরালটির বেশ কিছু অংশ ভেঙে বিকৃত করে দেয় তারা। তবে ম্যুরালের মূল অবকাঠামো আগের মতই রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে সাভার উপজেলার মুক্তির মোড়ে উপস্থিত হন অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতা। পরে তারা হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের বেশ কিছু অংশ বিকৃত করে দেন।
এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উত্তেজিত ছাত্র-জনতা ম্যুরালটি ভাঙচুর করেন। পরে ম্যুরালটিতে সাভারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহিদ মারুফ, শ্রাবণ গাজী ও সুমনের ছবি টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু চত্বরের নাম পরিবর্তন করে মারুফ চত্বর রাখা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বুয়েটের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নতুন নাম ‘স্বাধীনতা হল’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নারী শিক্ষার্থীদের নতুন হল ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা হল’ করা হয়েছে। বুধবার বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫৪৯তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এন. এম. গোলাম জাকারিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি’ নির্ধারণ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে এটি প্রশাসন কর্তৃক স্বীকৃত নয়। এ ছাড়া বুয়েটে পলাশিতে অবস্থিত ইসিই ভবনের নামফলক থেকে শেখ হাসিনার নাম মুছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৪৯তম অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা হল’ করা হলো।
এ দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের’ নামফলক ভেঙ্গে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’–নাম দিয়ে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। এ ছাড়া অমর একুশে হল এবং বিজয় একাত্তর হলে নামফলকে থাকা শেখ হাসিনার নাম মুছে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। হলগুলো উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা, ফলে উদ্বোধনী নামফলকে তার নাম লেখা ছিল।
তবে এটি প্রশাসনিকভাবে স্বীকৃত নয় জানিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমকালকে বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। ছাত্রদের দাবি আছে, প্রশাসন বিষয়টি অবগত। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’