তামিম ইকবালের নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয়বার বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে ফরচুন বরিশাল। চলতি আসরের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলটি শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে মাঠে নির্ভার থাকতে হবে। পূর্বে বিপিএলের দুই শিরোপা জেতা তামিম ইকবাল এমনটাই মনে করেন।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় বিপিএলের ফাইনালে বরিশাল ও চট্টগ্রাম কিংস মুখোমুখি হবে। কাগজে কলমে বরিশাল শক্তিতে এগিয়ে। তবে ফাইনালে তামিম কাগজের শক্তির কথা ভাবতে চান না। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমনই বার্তা দিয়েছেন বিপিএল চলাকালীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিক বিদায় বলা তামিম ইকবাল।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ফাইনালে যে দল যত নির্ভার থাকবে তাদেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি। কোয়ালিফায়ারে আমি চাপে ছিলাম। এর আগে দু’বার ফাইনাল খেলেছি। ফাইনালে আমি অত চাপে থাকি না। আশা করি, কালকেও ওমন যাবে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ফাইনাল। এখানে চাপ চলে আসলে আপনি ভুল করবেন। সেজন্য নির্ভার দলেরই জয়ের বেশি সুযোগ থাকবে।’

অভিজ্ঞ ক্রিকেটারে ভরা দল ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা খেলছেন। বিদেশি ডেভিড মালান, মোহাম্মদ নবী খেলছেন দলটিতে। দুই দলের শক্তি মাপলে বরিশালের ধারে কাছে নেই চট্টগ্রাম কিংস। তবে তামিম মনে করেন, নাম দিয়ে ফাইনাল ম্যাচ হয় না।

তিনি বলেন, ‘এটা ফাইনাল। নামের খেলা হবে না। দল হিসেবে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। আমি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে জিতব। তারা পরিকল্পনা ভালো করলে তারা জিতবে। অনেকে হয়তো ভাবেনি তারা ফাইনালে উঠবে। তবে মাঠে তারা প্রমাণ করেছে যে তারা প্রাপ্য। আমরা ফাইনালটা অন্য ম্যাচের মতো করেই খেলার চেষ্টা করবো।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ত ম ম ইকব ল ত ম ম ইকব ল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ