বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দুই ভাগ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। সরকারের টাস্কফোর্স কমিটির সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, বিমান ভালোভাবেই পরিচালিত হচ্ছে, তাই বিভক্তির প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে বিমানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রথমবারের মতো সি-চেক সম্পন্ন হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, বিমান এখন দক্ষ জনবলের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সি-চেক করছে, যা এর আগে কখনো হয়নি। এ কাজের মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। সামনে ডি-চেকও করা হবে, যা বিমানের সক্ষমতা বাড়াবে।

তিনি আরও বলেন, বিমানকে ‘অথর্ব’ আখ্যা দিয়ে বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে একাংশ পরিচালনার যে সুপারিশ এসেছে, তা অযৌক্তিক। বিমান এখন স্বাবলম্বীভাবে কাজ করছে, টিকেট বিক্রির অনলাইন ব্যবস্থা চালু হয়েছে, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংও দক্ষতার সঙ্গে করা হচ্ছে। ফলে বিদেশি কোম্পানির প্রয়োজনীয়তা নেই।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণে গঠিত সরকারের টাস্কফোর্স কমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে কমিটির তরফে বাংলাদেশ বিমানকে দুই ভাগ করে একভাগ বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালনার সুপারিশ আসে।

এ প্রস্তাব যৌক্তিক কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আমি তো মনে করি যে এটার যৌক্তিকতা নেই। প্রথম কথা হল বিমানে কোনো অসুবিধা নাই। বিমানের টিকেট এখন অনলাইনে পাওয়া যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধ ভারতীয়দের ‘হাত-পা বেঁধে’ ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী নিয়ে বুধবার পাঞ্জাবের অমৃতসরে অবতরণ করেছে দেশটির একটি সামরিক বিমান। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন এজেন্ডার অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ফেরত পাঠানো হলো কাগজপত্রবিহীন অবৈধ এসব অভিবাসীকে। ফেরত পাঠানোর সময় হাত-পা শিকল দিয়ে বেঁধে বিমানে ওঠানো হয় তাদের, যা নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে।

যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ইউএস বর্ডার প্যাট্রল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) হাত-পা বেঁধে রাখা ভারতীয়দের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। 

সংস্থাটির প্রধান মাইকেল ডব্লিউ ব্যাংকস ২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, সফলভাবে বিদেশিদের ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সামরিক বিমান ব্যবহার করে এটি সবচেয়ে দূরত্বে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা। অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি লেখেন, যদি আপনি অবৈধ পথে আসেন, আপনাকে ফেরত পাঠানো হবে।

এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, প্রায় ৪০ ঘণ্টার এই যাত্রার পুরো সময় শিশু ছাড়া ফেরত পাঠানো অবৈধ অভিবাসীদের হাতকড়া ও পায়ে শেকল পরিয়ে রাখা হয়েছিল। এমনকি খাওয়া কিংবা টয়লেট ব্যবহারেরও যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন নির্বাসিতরা।

ওয়াশিংটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই নির্বাসনের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। তবে সেই দাবি আমলে না নিয়ে, বিবৃতি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

এই নির্বাসনকে একটি চলমান প্রক্রিয়া দাবি করে তিনি বলেছেন, ফেরত আসা বহিষ্কৃতদের সঙ্গে ফ্লাইটের সময় যাতে কোনোভাবে দুর্ব্যবহার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারত। খবর রয়টার্স, এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

সম্পর্কিত নিবন্ধ