নওগাঁয় ১৬ বছর পর প্রকাশ্যে ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
Published: 6th, February 2025 GMT
নওগাঁয় ১৬ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এ উপলক্ষে জেলা শহরে বর্ণাঢ্য একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের কাজীর মোড় থেকে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তির মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নওগাঁ শাখার সভাপতি সারোয়ার হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি আবদুর রাকিবসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অন্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের জেলা সেক্রেটারি আবদুর রাকিব বলেন, ‘এ পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের লোকজন যত জায়গায় অবস্থান নিয়েছে, সেখানে তারা সততার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাবে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারলেও দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারিনি।’
সংগঠনটির শাখা সভাপতি সারোয়ার হোসাইন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সৎ, দক্ষ ও আদর্শিক নাগরিক তৈরির মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণ। এ লক্ষ্য পূরণে মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস, সীমাহীন ত্যাগ, সর্বোচ্চ ধৈর্য এবং গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের লক্ষাধিক জনশক্তি এগিয়ে চলছে। সময়ের ব্যবধানে ছাত্রশিবির আজ দেশে সর্ববৃহৎ সুশৃঙ্খল ছাত্রসংগঠনে পরিণত হয়েছে। সীমাহীন প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের অবস্থানও সুদৃঢ়।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির ৩৬ বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, উপ-উপাচার্য বললেন জটের শঙ্কা নেই
দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণের প্রতিবাদ, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে দিনব্যাপী উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৬টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তবে তাদের এই আন্দোলনের ফলে সেশনজটে পড়তে হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ।
রবিবার (৯ মার্চ) ঢাবির আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বে কি-না জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “ধর্ষণের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের একটি সংবেদনশীল বিষয়। যেসব বিভাগ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে, তাদের সেশনজটের শঙ্কা নেই।”
তিনি বলেন, “যেকোন পরিস্থিতিতে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের শঙ্কায় পড়েন, তাহলে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করি। যেমন- অল্প সময়ে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, অনলাইন ক্লাস, ছুটির দিনেও ক্লাস এবং সেমিস্টার গ্যাপ কমানো। অতীতের মতো এবারো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে।”
রবিবার এ প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়, লোক প্রশাসন, রসায়ন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূতত্ব, ইংরেজি, ভাষা বিজ্ঞান, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের।
এছাড়া, শিক্ষক নেটওয়ার্ক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আংশিক অথবা পূর্ণাঙ্গ ব্যাচ তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া ৩৬ টি বিভাগগুলো হলো- লোক প্রশাসন, রসায়ন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূতত্ব, ইংরেজি, ভাষা বিজ্ঞান, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, তথ্য গ্রন্থাগার ও ব্যবস্থাপনা, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মার্কেটিং, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ, ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স, টেলিভিশন, চলচিত্র ও ফটোগ্রাফি, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, মুদ্রণ ও প্রকাশনা, সংগীত, ম্যানেজমেন্ট, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, স্বাস্থ্য অর্থনীতি, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, পদার্থ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, উদ্ভিদবিজ্ঞান, দর্শন, ভাষাবিজ্ঞান, প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ESOL, গণিত, পরিসংখ্যান বিভাগ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী