কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে সাবেক চার রাষ্ট্রপতির ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ জনতা ম্যুরালে ভাঙচুর চালান। ম্যুরালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মো. জিল্লুর রহমান ও মো. আবদুল হামিদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। ওই তিন নেতার পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি–সংবলিত একটি ম্যুরাল নির্মাণ করা হয় বাজিতপুর বাজারে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ম্যুরালটিতে ভাঙচুর চালানো হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েক শ মানুষ ম্যুরালের সামনে অবস্থান নেন। পরে জনতা শেখ মুজিবের ছবিটিতে আঘাত করতে থাকেন। বিক্ষুব্ধ জনতা বেলা দুইটা পর্যন্ত ম্যুরালের সামনে অবস্থান করেন।

এদিকে এমপি মার্কেটের অবস্থান ম্যুরাল লাগোয়া। বাজিতপুর-নিকলী উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের টানা চারবার সংসদ সদস্য ছিলেন মো.

আফজাল হোসেন। তিনি বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মার্কেটটির মালিক তিনি। ম্যুরাল ভাঙচুরের সময় এমপি মার্কেটে ভাঙচুর হতে পারে, এমন ধারণায় ব্যবসায়ীরা দোকান থেকে পণ্য সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে রাখেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, এই মার্কেটে আফজাল হোসেনের রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল। গত ৫ আগস্টের পর মার্কেটে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সে অভিজ্ঞতা থেকে ব্যবসায়ীরা আগেভাগে পণ্য সরিয়ে নেন এবার।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

এমএলএম ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকের

দেশের জনগণকে পিরামিড বা পঞ্জি স্কিম মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বসাধারণের জন্য একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত সময়ে দেশে কতিপয় প্রতিষ্ঠান বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রাহকের আমানত বা বিনিয়োগ সংগ্রহ, রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান এবং অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদানের নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে (যেমন যুবক, ডেসটিনি ইত্যাদি)। এ ছাড়া অস্বাভাবিক মূল্যছাড় বা ডিসকাউন্টে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানেরও পণ্য বিক্রির নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার নজির রয়েছে (যেমন ই–ভ্যালি)। অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদান এবং রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান করা পিরামিড বা পঞ্জি স্কিমের বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা অতীব ঝুঁকিপূর্ণ ও গ্রাহকের বিনিয়োগ হারানোর নজির তৈরি করেছে। এ রকম প্রতারণামূলক ব্যবসায়ে লাভ থেকে মুনাফা না দিয়ে একদল গ্রাহকের বিনিয়োগের অর্থ থেকে আরেক দল গ্রাহককে তথাকথিত মুনাফা প্রদান করা হয়। এ ধরনের প্রতারণা মানি লন্ডারিংয়ের আওতাভুক্ত অপরাধ বিধায় অতীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া লাইসেন্স ব্যতীত আমানত সংগ্রহ তথা ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৩১ (১) ধারায় প্রদত্ত নির্দেশনার লঙ্ঘন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়েও একই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হওয়ায় তা বর্তমানে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে। এমতাবস্থায় গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষা বিবেচনায় দেশের জনসাধারণকে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে লেনদেন করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত ও বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ প্রদান করা হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ