ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা ঠেকাতে পুলিশ চেষ্টা করেছে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 6th, February 2025 GMT
ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ঠেকাতে পুলিশের কী উদ্যোগ ছিল জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। গভীর রাত পর্যন্ত নিজে সেখানে ছিলাম। কোনো সাংবাদিকদের ওপর হামলার তথ্য পাইনি।’ বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরায় কাউন্টার ও ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে বাস সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার রাতে ‘বুলডোজার মিছিলের’ ঘোষণা দিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু ভবন। পরে ধানমন্ডি ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ ঘোষণা দেয়, বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা যিনি ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতে পালিয়ে আছেন। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে, যাদের নেতৃত্বে গত বছরের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, শেখ হাসিনাকে বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দেওয়াকে বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ-বিরোধী জনগণের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ হিসেবে দেখি। পরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফেসবুকে আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।
এর আগেই বুধবার বিকেলে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইলিয়াস হোসাইন ও পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুকে ‘ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে বুলডোজার মিছিল’ ঘোষণা করেন।
সেই আহ্বানে রাত ৮টা থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। লাঠিসোঁটা ও শাবল হাতে ভাঙচুরে যোগ দেন অনেকে। জানালার গ্রিল, কাঠ, ফটকের অংশ ভেঙে নিয়ে যেতে দেখা যায় কাউকে কাউকে।
অনেক ইতিহাসের সাক্ষী ওই বাড়িতে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন আগুন দেওয়া হয়েছিল। বুধবার ব্যাপক ভাঙচুরের পর ভেতরে পোড়ার মতো যা কিছু আছে, তাতে ফের আগুন দেওয়া হয়। এ সময় নারিকেল গাছের পাতাও জ্বলতে দেখা যায়। আগুন জ্বলতে দেখা যায় ৩২ নম্বরের ওই বাড়ির পাশের একটি ভবনেও।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ধ নমন ড ড এমপ ধ নমন ড
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ বাসে আগুন, অল্পে রক্ষা পেলেন অর্ধশতাধিক যাত্রী
শৈলকুপায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে রুপসা পরিবহনের চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে নিরাপদে বাস থেকে নামতে সক্ষম হন অর্ধশতাধিক যাত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মহম্মদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাসটি ভোরে খুলনা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল ৯টার দিকে মহম্মদপুর এলাকায় পৌঁছালে ইঞ্জিনের ডিফেন্সার ভেঙে পড়ে। এর সঙ্গে তেলের ট্যাঙ্কার ও ব্যাটারির ঘর্ষণে আগুন লেগে যায়। পরে যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে বাসটি পুড়ে যায়। শৈলকুপা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাসমালিকের পক্ষ থেকে আগুনে ৪০ থেকে ৪২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে জানানো হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলছেন ক্ষতির পরিমাণ ১২ লাখ টাকা।
ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক হাসান জানান, বাসে থাকা যাত্রীরা নিরাপদে নেমেছেন। এ ঘটনায় নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মহিউদ্দিন বলেন, পরিবহনে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঠা ও রঙ ব্যবহার হওয়ায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ফোমজাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।