অস্ট্রেলিয়ার ১৫ জনের দলের ৪ জনই ছিটকে গেলেন
Published: 6th, February 2025 GMT
শেষ পর্যন্ত শঙ্কাটাই সত্যি হলো। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা পেসার প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউডের। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) আজ এই দুঃসংবাদ দিয়েছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ সদস্যের স্কোয়াড থেকে ৪ জন ছিটকে গেলেন।
কামিন্স–হ্যাজলউডের ছিটকে পড়ার কারণ সবারই জানা। দুজনই সর্বশেষ বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে চোটে পড়েছিলেন। অ্যাঙ্কেলে পাওয়া আঘাত থেকে এখনো সেরে ওঠেননি কামিন্স। হ্যাজলউডের চোট আরও গুরুতর। নিতম্বে অস্বস্তির পাশাপাশি ও পায়ের পেশিতেও টান ধরেছিল তাঁর। আগের তুলনায় এখন কিছুটা ভালো বোধ করলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার মতো অবস্থায় নেই।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড থেকে কামিন্স ও হ্যাজলউডের ছিটকে পড়ার খবর এমন সময়ে এল, যার ঘণ্টা দুয়েক আগে ওয়ানডে থেকে আকস্মিক অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। কদিন আগে আরেক অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ পিচের চোটের কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। চোট থেকে সেরে ওঠার লড়াইয়ে থাকা তিনজনকে আরও কয়েক সপ্তাহ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছে সিএ।
অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত প্যাট (কামিন্স), জশ (হ্যাজলউড) এবং মিচকে (মার্শ) কিছু চোট সামলাতে হচ্ছে। তারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য ফিট হয়ে উঠতে পারবে না। তাদের না থাকা হতাশাজনক হলেও এটা বৈশ্বিক ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অন্য খেলোয়াড়দের পারফর্ম করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।’
কামিন্স ছিটকে পড়ার অর্থ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য নতুন অধিনায়কও খুঁজতে হবে সিএকে। দলের প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড কামিন্সের অনুপস্থিতিতে স্টিভেন স্মিথ অথবা ট্রাভিস হেডকে অধিনায়ক বানাতে বোর্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট সিরিজে স্মিথ অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হেড একবারই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে।
মার্শ, স্টয়নিস, কামিন্স ও হ্যাজলউডের জায়গায় এখনো কারও নাম ঘোষণা করেনি সিএ। তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পরপরই বেইলির নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি নতুন চারজনের নাম ঘোষণা করবেন।
সিএর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে থাকা তানভীর সাংহা, শন অ্যাবট ও কুপার কনোলিকে সেখানেই থেকে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জেইক ফ্রেজার–ম্যাগার্ক, বেন ডরশুইস ও স্পেনসার জনসন শিগগিরই কলম্বোয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তাঁদের মধ্য থেকে চারজনকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে নেওয়া হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু হবে ২২ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এর আগে কলম্বোয় ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলবে তারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য জলউড র
এছাড়াও পড়ুন:
মহাকাশে অবস্থান পরিবর্তন করছে বিরল এক কৃষ্ণগহ্বর
সম্প্রতি একটি অতিকায় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরটি দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সংযুক্তির কারণে দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। বিরল এই কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ শুরু শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কৃষ্ণগহ্বরটি তার ছায়াপথ ৩সি ১৮৬ থেকে প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটে যাচ্ছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা গেছে, ছায়াপথের নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণের সময় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরটি গ্যালাকটিক কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ছিল; কিন্তু বর্তমানে কৃষ্ণগহ্বরটি তার আগের অবস্থানে নেই। কৃষ্ণগহ্বরটির এই অবস্থান পরিবর্তন কোনো বড় ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সম্ভবত কোনো গ্যালাকটিক সংঘর্ষ বা সংযুক্তির কারণে এমনটা ঘটছে।
আরও পড়ুনকৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি২০ জানুয়ারি ২০২৫গভীর অনুসন্ধানের জন্য বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের নির্গত আলো বিশ্লেষণ করতে চিলির টেলিস্কোপ ও হাওয়াইয়ের সুবারু টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। দেখা গেছে, কৃষ্ণগহ্বরের অ্যাক্রিশন ডিস্ক থেকে নীল আলো আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। যার অর্থ কৃষ্ণগহ্বরটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে গ্যাস অনেক দুর্বল নীল আলো প্রদর্শন করছে, যার কারণে বোঝা যাচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরটি তার অন্যান্য ছায়াপথের তুলনায় বেশি গতিতে ছুটছে।
আরও পড়ুনআকারে বড় কৃষ্ণগহ্বর বিজ্ঞানীদের নজর এড়িয়ে যায় কেন১৫ জানুয়ারি ২০২৫বিজ্ঞানীরা জানান, দুটি ছায়াপথের সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণগহ্বরটি। এর ফলে সেখানে থাকা কেন্দ্রীয় কৃষ্ণগহ্বর একটি বৃহত্তর ছায়াপথে মিশে গেছে। এই সংমিশ্রণের ফলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছে, যা বাইরের দিকে বিকিরণ শুরু করেছে। বিরল ধরনের এই অতিকায় কৃষ্ণগহ্বরের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
সূত্র: এনডিটিভি