রাজধানীতে ছিনতাই ঠেকাতে ‘স্মল আর্মস’ পাচ্ছেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা: ডিএমপি কমিশনার
Published: 6th, February 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার সড়কে ছিনতাই ঠেকাতে ট্রাফিক সার্জেন্টদের স্মল আর্মস (হালকা বা ছোট অস্ত্র) দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আজ বৃহস্পতিবার উত্তরার আজমপুর বিডিআর মার্কেট–সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি আয়োজিত ‘ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকেটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচল’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনারের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, উত্তরার হাউস বিল্ডিং থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ছিনতাইয়ের প্রকোপ বেশি। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অস্ত্রের মুখে ছিনতাই হচ্ছে। কিন্তু একজন বা দুজন কনস্টেবল বা একজন সার্জেন্টের পক্ষে ছিনতাই রোধ করা সম্ভব নয়। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?
জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এই এলাকায় ছিনতাই হয়। এর আগেও আমি ব্যবস্থা নিয়েছি। এক মাস আগেও রাজধানীতে ছিনতাইয়ের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ব্যাপক ধরপাকড়ের কারণে ১৫ দিন ধরে ছিনতাই খুব কমে গেছে। কারণ, তাদের জেলে রাখা হয়েছে।’
কমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের জনবল কম। ট্রাফিকের লোক আরও অসহায়। একজন ডিউটি করেন। তাঁরা নাজুক অবস্থায়। সার্জেন্টদের স্মল আর্মস দিয়ে দিচ্ছি। তিনি যেন এক, দুই বা তিনজন ছিনতাইকারী মোকাবিলা করতে পারেন।’
গতকাল রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা ও ভাঙচুরে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। রাত দুইটা–আড়াইটা পর্যন্ত আমি (পরিস্থিতি) মনিটরিং করেছি।’
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুত্বের টানে পার্বতীপুরে এলেন তাইওয়ানের তরুণ
ফেসবুকে পরিচয়। পরিচয় থেকে হয় বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বের টানে তাইওয়ানের তরুণ লুইস সিংজন ইয়ের ছুটে এসেছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুরে। আজ বুধবার দুপুরে পার্বতীপুর শহরের নতুন বাজার মেইনে রোডে সাইকেল চালাতে দেখা যায় তাইওয়ানের ওই তরুণকে।
২২ বছর বয়সী লুইস সিংজন গত ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে আসেন। এরপর তিনি পার্বতীপুর শহরের আদর্শ কলেজপাড়ায় ফেসবুকের বন্ধু আপন ইসলামের (১৯) বাড়িতে যান। আপন স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে। ভিনদেশি তরুণকে দেখতে প্রায়ই আশপাশের লোকজন আসছেন।
আপন ইসলাম জানান, ফেসবুকে একটি খেলার ভিডিও আপলোড করেছিলেন। সেই ভিডিও দেখে পরিচয় হয় তাইওয়ানের লুইস সিংজনের সঙ্গে। তৈরি হয় বন্ধুত্ব। আর বন্ধুত্বের টানে লুইস শেষ পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে চলে এসেছেন।
আপনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আসা লুইস একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। তাঁর আগমনে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। ছেলের বন্ধু লুইসকে নিজের সন্তানের মতো পরম মমতায় বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন।’
আপন ও তাঁর বন্ধু লুইস সিংজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লুইস সিংজন একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী। তিনি তাঁর দেশের একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এর আগেও টুরিস্ট ভিসায় লুইস চারবার বাংলাদেশ এসেছেন। ভবিষ্যতে এলে সিলেটে ঘুরতে যাবেন। ঘুরতে তাঁর পছন্দ। লুইসের বাবা তাইওয়ানের একটি শহরে বসবাস করেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে লুইস সবার ছোট। তাঁর দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।
তাইওয়ানের তরুণ সাইকেল চালাচ্ছেন। বুধবার দুপুরে পার্বতীপুর শহরের নতুন বাজার মেইনে রোডে