ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মদপানে তিন যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুদ (৩৭) নামের এক যুবক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে এবং সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।     

গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের মদিপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।    

নিহতরা হলেন- মদিপাড়া গ্রামের আ.

রশিদের ছেলে সুমন মিয়া (৩৫), একই এলাকার তামাদিপাড়া গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে আ. জলিল (৪৮) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সোহেলপুর গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন (৩৮)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন মাসুদ মৃত নিজাম উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার ইব্রাহীমপুর থেকে তার খালাত ভাই মৃত আ. জলিলের বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের মদিপাড়া এলাকায় বেড়াতে আসে। এ সময় সে একটি হুইস্কি জাতীয় মদের বোতল সঙ্গে নিয়ে আসে। রাতে জলিলের ঘরে বসে ৪-৫ বন্ধু মিলে এই মদ পান করলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দিনভর তারা বমি করতে থাকলে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে পরিবারের লোকেরা বিষয়টি টের পেয়ে বুধবার রাতে জলিল, নিজাম ও মাসুদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাত ৪টার দিকে জলিল ও নিজাম মারা যায়।    

এ ঘটনায় অসুস্থ সুমন মিয়া নামের আরও একজন গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইমতিয়াজ হোসাইন। তিনি জানান, হাসপাতালে সুমন মিয়া নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তিনি হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মদপ ন ম ত য মদপ ন ময়মনস হ ও উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাছবাহী গাড়ির পানি ঝরে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলার নাসির গ্লাস কারখানা থেকে নিশিন্দা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। কিছু স্থানে খানাখন্দ এত বড়, সেসব স্থানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার এলাকা খানাখন্দে ভরে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার আইডিয়াল মোড় থেকে উত্তরে স্কয়ার ফ্যাশান, মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড হয়ে তেপান্তর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার। আমতলী, সিডস্টোর বাজার, ভালুকা সদরের খিরু নদীর দক্ষিণে এআর ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে উত্তরে থানার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার। এ ছাড়া ভরাডোবার বাকসাতরা মোড় থেকে উত্তরে ক্লাবের বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঢাকাগামী লেনের কার্পেটিং উঠে অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। কিছু খানাখন্দ যেন মরণফাঁদ। যেখানে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
একাধিক গাড়িচালক জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি ও থানার মোড় এলাকার কিছু রাস্তা সবচেয়ে খারাপ ও বিপজ্জনক। এসব এলাকায় গাড়ি চালানো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের দাবি, মাছের গাড়ি থেকে পানি পড়ে সব সময় ওইসব গর্ত ভরে থাকে। অপরিচিত চালকরা গর্তের আকার ও গভীরতা বুঝতে না পারার কারণে প্রায়ই দেখা যায়, মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়কের গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে আছে।
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তথ্যমতে, এমনিতেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করে। অপরদিকে সদর, ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলায় দেশের সবচেয়ে বেশি পাঙাশ মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব মাছ পানিভর্তি ড্রামে ট্রাকে এই মহাসড়ক দিয়ে রাজধানীসহ দেশের হাটবাজারে নেওয়া হয়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি রাতে ২৫০-৩৫০ ট্রাক মাছ পরিবহন করা হচ্ছে। মহাসড়কজুড়ে ওইসব মাছ বহনকারী ট্রাক থেকে অনবরত পানি পড়ছে। এই পানির কারণেই অল্প সময়ের মধ্যে মহাসড়কের কার্পেটিং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জানান, মহাসড়কের কিছু স্থান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে ভালুকা উপজেলার ভরাডোবার ক্লাবের বাজার, ভালুকা সদরের থানার মোড় খিরু সেতুর দুই পাশ ও মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা। ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে অব্যাহত রুটিন ওয়ার্ক করলেও তা ২-৩ দিনের বেশি টিকছে না। তাঁর দাবি, কিছু  ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ডাবল এইচবিবি করা হলেও বেশি দিন টিকছে না। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মূল কারণ প্রতিদিন মাছ বহনকারী শত শত ট্রাক ও পিকআপ থেকে অবিরাম পানি ঝরা। গত বছর সদর, ত্রিশাল ও ভালুকা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাছের গাড়িগুলোয় পানি সরবরাহ করা মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ ৫০টিরও বেশি পানির পাম্প উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাতেও ফল পাওয়া যায়নি। এক কথায়, মহাসড়কে পানি পড়া সম্পূর্ণ বন্ধ করতে না পারলে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। 
প্রকৌশলী খাইরুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমরা উল্লিখিত বিষয়ে লিখিতভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বারবার করেছি এবং মহাসড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরসিসি করার প্রস্তাব দিয়েছি। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো আরসিসি করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম চলমান।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে ‘অজানা বিষক্রিয়ায়’ ৩ জনের মৃত্যু
  • বোন বিচার চাওয়ায় ভাগনেকে শাসন, মামা খুন
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি
  • ময়মনসিংহসহ বিভিন্নস্থানে শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল ভাঙচুর, ভৈরবে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর
  • ময়মনসিংহে আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পরই উত্তেজনা, জিপি আহত
  • নেত্রকোনায় মাকে ছেলের মারধর, শাসন করতে গিয়ে মামা খুন
  • মাছবাহী গাড়ির পানি ঝরে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক
  • লিফলেট বিতরণ করায় আ.লীগ নেতাকে বেঁধে পুলিশে সোপর্দ
  • ‘জেরিনের বড় ভাই দায়ী’ পোস্ট দিয়ে বাঙলা কলেজছাত্রের আত্মহত্যা