শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদ জানিয়ে সুনামগঞ্জেও গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ ওলামা মশায়েখগণ। একপর্যায়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ঐতিহ্য জাদুঘর, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা প্রাঙ্গণে থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধরা। একই সময়ে শহরের হাছননগরের ডংকা শাহ্’র মাজারের স্থাপনা ভেঙে দেন বিক্ষুব্ধরা।

জেল রোড এলাকার উপজেলা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে থাকা ম্যুরালও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। 

গভীর রাতে মোটরসাইকেলযোগে পৌরসভা প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ ওলামা মশায়েখগণ। পরে সেখানে থাকা কালো পলিথিন সরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার জমায়েত থেকে দেওয়া স্লোগান ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা; আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; মুজিববাদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না প্রভৃতি স্লোগানে মুখরিত হয় পৌরসভা প্রাঙ্গণ।

সুনামগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমনদ্দোজ্জা জানান, দেশে ফ্যাসিবাদীদের যা কিছু আছে, সেগুলো আমরা ভেঙে দিতে চাই। যেন দেশের কেউ আর এই ফ্যাসিবাদের দিকে অনুপ্রাণিত না হয়, তারা যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেই চেষ্টা করছে ছাত্র-জনতা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স ন মগঞ জ প র ঙ গণ

এছাড়াও পড়ুন:

‘কোথাও যাচ্ছি না, অবসরও নিচ্ছি না’- চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে রোহিত

‘‘আর একটা কথা, আর কোনও গুজব যাতে না ছড়ায়, সেজন্য জানাচ্ছি, আমি এই ফরম‌্যাট থেকে অবসর নেব না। ’’

চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল জয়ের পর ট্রফি হাতে, গলায় মেডেল জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শিরোপাজয়ী রোহিত শর্মা। লম্বা সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। সবশেষে রোহিত নিজ থেকে এমন ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দেন।

২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম‌্যাট ছেড়ে দেন রোহিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও রোহিত চালিয়ে যান ঘরোয়া ক্রিকেট। ওয়ানডে রোহিত কবে ছাড়বেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল। বিশেষ করে ২০২৭ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ভারত কোন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাবে সেটাও ছিল ভাবনার।

২০২৫ সালে ভারত জিতল চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি। নিউ জিল‌্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয়ের নায়ক রোহিত। ২৫২ রানের লক্ষ‌্য তাড়ায় রোহিত ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক‌্যারিয়ার শুরু রোহিতের। ২৭৩ ম‌্যাচে তার রান ১১ হাজার ১৬৮। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৪ রান তার ব‌্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

ভারতের শিরোপা জয়ের পেছনে দলের পারফর্মারদের গভীরতা, নিজেদের বোঝাপড়া এবং উপভোগের মন্ত্রর কথা বললেন রোহিত, ‘‘এটা (চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি) দলের কোয়ালিটি প্রমাণ করে। দলের গভীরতা প্রকাশ করছে। নিজেদের বোঝপড়া, উপভোগ করার মানসিকতা, উদযাপনের মন্ত্র সব কিছু মিলিয়ে আমাদের দল। এভাবেই আমরা ক্রিকেটটা খেলতে চাই। বাইরে থেকে প্রচুর চাপ আসে। আমাদের নিয়ে অনেক জল্পনা হয়। কিন্তু ছেলেরা বাইরের সেই চাপ, আবেগ সামলে নিয়ে কিভাবে ম‌্যাচ জিততে পারব এবং খেলাটা উপভোগ করতে পারব সেদিকে মনোযোগ দেয়।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ