সুনামগঞ্জে ৫ স্থানে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও একটি মাজার ভাঙচুর
Published: 6th, February 2025 GMT
শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদ জানিয়ে সুনামগঞ্জেও গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ ওলামা মশায়েখগণ। একপর্যায়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ঐতিহ্য জাদুঘর, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা প্রাঙ্গণে থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধরা। একই সময়ে শহরের হাছননগরের ডংকা শাহ্’র মাজারের স্থাপনা ভেঙে দেন বিক্ষুব্ধরা।
জেল রোড এলাকার উপজেলা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে থাকা ম্যুরালও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
গভীর রাতে মোটরসাইকেলযোগে পৌরসভা প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীসহ ওলামা মশায়েখগণ। পরে সেখানে থাকা কালো পলিথিন সরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার জমায়েত থেকে দেওয়া স্লোগান ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা; আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; মুজিববাদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না প্রভৃতি স্লোগানে মুখরিত হয় পৌরসভা প্রাঙ্গণ।
সুনামগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমনদ্দোজ্জা জানান, দেশে ফ্যাসিবাদীদের যা কিছু আছে, সেগুলো আমরা ভেঙে দিতে চাই। যেন দেশের কেউ আর এই ফ্যাসিবাদের দিকে অনুপ্রাণিত না হয়, তারা যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেই চেষ্টা করছে ছাত্র-জনতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স ন মগঞ জ প র ঙ গণ
এছাড়াও পড়ুন:
বেনাপোল বন্দর থেকে আরেকটি ট্রাক ফেরত নেওয়া হচ্ছে
বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের পর বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। তৃতীয় দেশের গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে একটি বাংলাদেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কার্পাস (গেট পাস) না দেওয়ায় ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ফেরত নেওয়ার কথা ভাবছে।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের শ্রীপুরের রপ্তানিকারক ব্লু প্লানেট নিটওয়ার লিমিটেড ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় গার্মেন্টস সামগ্রী স্পেনে রপ্তানির জন্য বেনাপোল বন্দরে ট্রাক পাঠায়, যার আমদানিকারক পুল অ্যান্ড বেয়ার স্পেন। ঢাকা মেট্রো ট ২০-৯০০৫ নম্বর ট্রাকে ৩৬৭ প্যাকেজ টি-শাট ও মহিলাদের ট্যাংক টপ পণ্য আছে। ৪৩০১ কেজি গার্মেন্টস সামগ্রীর রপ্তানি মূল্য ৯৭ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৮ টাকা। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য বেনাপোল কাস্টমসে কাগজপত্র দাখিল করেন রানা ইন্টারন্যাশনাল নামের সিএন্ডএফ এজেন্ট।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্গো সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার এসব পণ্য পেট্রাপোল বন্দর হয়ে কলকাতার দমদম এয়ার পোর্ট ব্যবহার করে স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে আসছিল। এসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে বিমান পথে রপ্তানি হলে পরিবহন ব্যয় বেশি পড়ে এবং ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় খরচ কম পড়ে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এর আগে বুধবার চারটি ট্রাক ফেরত গেছে, বন্দরের ভেতর একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। এ খবর জানতে পেরে অন্য রপ্তানিকারকরা পণ্য লোড বন্ধ করে রেখেছেন।
বেনাপোল কাস্টমসের কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার আবু তাহের বলেন, তৃতীয় দেশে কোনো পণ্যের আজ রপ্তানির জন্য কার্পাস হয়নি।
বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, পেট্রাপোল কাস্টমস তৃতীয় দেশের পণ্যের কার্পাস না দেওয়ায় পণ্য বোঝাই একটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরের টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে।