সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ভারতে বসে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলেই ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ দাবি করেন তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বক্তব্য দেওয়া থেকে শেখ হাসিনাকে বিরত রাখতে বারবারই ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। দিল্লি কি করে সেটি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। গতকাল ভাঙচুরের সময় সেনাবাহিনী উপস্থিত ছিল, থামানোর চেষ্টা করেছে।

তিনি জানান, শেখ হাসিনা বক্তব্য দিয়ে যে অস্থিরতা করছে, তা যেন না করে সেটা লিখিতভাবে ভারতকে জানানো হয়েছে। বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার কাছে প্রতিবাদ পত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।

আদানির সঙ্গে চুক্তির বিষেয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটি কোনো ভালো চুক্তি নয়। দেশের স্বার্থকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গেল ছয় মাসে বাংলাদেশের তরফ থেকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অস্বস্তিতে ছিল।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা সফর করবেন জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আলাদা দেশ হিসেবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চায় ঢাকা।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছেন মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা। এই শিক্ষার্থী গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্টুডেন্ট ওয়ার্কার্স অব কলাম্বিয়া ইউনিয়ন গতকাল রোববার এই তথ্য দিয়েছে।

ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদ খলিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের শিক্ষার্থী। তাঁকে গত শনিবার তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবন থেকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাহমুদ খলিলের স্ত্রী আছে। তিনি মার্কিন নাগরিক এবং আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

আরও পড়ুনইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল প্রত্যাহার ট্রাম্পের০৭ মার্চ ২০২৫

মাহমুদ খলিলের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের গ্রিন কার্ড রয়েছে বলে ইউনিয়ন জানিয়েছে।

মাহমুদ খলিলের গ্রেপ্তারের বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রথম প্রচেষ্টার একটা বলে মনে হচ্ছে।

রিপাবলিকান ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে ফেরেন। ট্রাম্প অঙ্গীকার করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ফিলিস্তিনিপন্থী প্রতিবাদী আন্দোলনে জড়িত কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন। এই আন্দোলনকে তিনি ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সংগঠন হামাস। জবাবে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ফিলিস্তিনিপন্থী ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। কয়েক মাস ধরে এই বিক্ষোভ চলে।

মাহমুদ খলিল তাঁর আন্দোলনকে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন বলে অভিহিত করছেন। এই আন্দোলনে ইহুদি ছাত্র ও গোষ্ঠীগুলোও অন্তর্ভুক্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারীদের পক্ষের প্রধান আলোচকদের একজন ছিলেন মাহমুদ খলিল।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়৩০ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় তাঁবু স্থাপন করেছিলেন। তাঁরা কয়েক ঘণ্টার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি একাডেমিক ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে এনেছিল।

ভবনটি দখল করা শিক্ষার্থীদের দলে ছিলেন না মাহমুদ খলিল। তিনি বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রভোস্ট ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যস্থতাকারী ছিলেন।

শনিবার গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা আগে মাহমুদ খলিল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তিনি শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারীদের নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা সম্পর্কে কথা বলেন। মাহমুদ খলিল বলেন, তিনি এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য সরকার তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

অনলাইনে পাওয়া জীবনবৃত্তান্ত অনুসারে, মাহমুদ খলিল সিরিয়ার একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে বেড়ে ওঠেন। তিনি বৈরুতে ব্রিটিশ দূতাবাসে কাজ করেছেন।

মাহমুদ খলিলের গ্রেপ্তার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি তাঁর আইনজীবী অ্যামি গ্রিয়ার। মাহমুদ খলিলের স্ত্রী তাঁর (মাহমুদ খলিল) এক সহপাঠীর মাধ্যমে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল০৭ মে ২০২৪

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কোনো স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে না। তবে এক বিবৃতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা তাদের শিক্ষার্থীদের আইনি অধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ট্রাম্প ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্ররা এ বিষয়ে করা প্রশ্নের উত্তর দেননি।

আরও পড়ুনক্ষমা চাইলেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারী২৭ এপ্রিল ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ