সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপের ‘রিসিভার’ মো. রুহুল আমিনকে বরখাস্ত করেছে সরকার। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক। নতুন রিসিভার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকেরই আরেক নির্বাহী পরিচালক খসরু পারভেজকে গত মঙ্গলবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত নভেম্বরে হাইকোর্টের এক আদেশ অনুযায়ী বেক্সিমকো গ্রুপে ‘রিসিভার’ নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই রিসিভারের দায়িত্ব ছিল গ্রুপটির সব প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি আশানুরূপ সাফল্য দেখাতে না পারায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ২৮ জানুয়ারি এ–সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেক্সিমকোকে নিয়ে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লে-অফ করা ১৩টি কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া, বেক্সিমকোর রিসিভারকে বরখাস্ত করা এবং ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর কাছে বন্ধক থাকা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার বিক্রি করে লে-অফ কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা করা।

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন তখন আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলস বা বস্ত্র ও পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর মাধ্যমেই গ্রুপটি ঋণ নিয়েছে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। বেক্সিমকো শিল্পপার্কের আওতাধীন যে ৩২ কোম্পানির কথা বলা হয়, এর মধ্যে ১৬টিই অস্তিত্বহীন। এসব অস্তিত্বহীন কোম্পানির বিপরীতে রয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণ।

বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাবন্দী। দেশের পোশাক রপ্তানি ও ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হলো বেক্সিমকো।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

মাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশে ফোন দিল ৪ বছরের শিশু

ছোটবেলায় মা–বাবা শিশুদের শেখান, কেউ কোনো অপরাধ করলে পুলিশ ডেকে তাকে ধরিয়ে দিতে হয়। কেমন হয়, এই শিক্ষা যদি মা–বাবার ওপরই সবার আগে প্রয়োগ করে শিশু।

গত সপ্তাহে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে। আইসক্রিম খেয়ে ফেলার অপরাধে মাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ডেকে বসে চার বছরের ছেলেশিশু। মাকে অবশ্য শেষমেশ কারাগারে যেতে হয়নি। তবে নিজের আইসক্রিম খাওয়ার অধিকার ঠিকই অর্জন করে নিয়েছে শিশুটি।

ডব্লিউএসএলএস ১০ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, উইসকনসিনের মাউন্ট প্লেজেন্ট এলাকা থেকে ৯১১ নম্বরে একটি ফোন আসে। এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা কলটি ধরার পর অপর প্রান্ত থেকে একটি শিশু বলে ওঠে, ‘আমার মা খুব খারাপ করেছে।’

পুলিশ কর্মকর্তা কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে শিশুটিকে কী হয়েছে, সে ব্যাপারে খুলে বলতে বলেন। সে বলে, মা তার আইসক্রিম খেয়ে ফেলে অন্যায় করেছেন এবং এ জন্য ন্যায়বিচার পেতে সে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। সে পুলিশকে বলে, তার মাকে ধরে নিয়ে যেতে। পুলিশ কর্মকর্তা তখনো বুঝে উঠতে পারছিলেন না, আসলে কী অন্যায় করেছেন শিশুটির মা।

তবে পুলিশকে বেশিক্ষণ ধোঁয়াশার মধ্যে থাকতে হয়নি। ওই শিশুর মা কোনোরকমে ছেলের কাছ থেকে ফোন নিয়ে নিজেই অপরাধ স্বীকার করে নেন।

ওই মা পুলিশকে আরও বলেন, তাঁর ছেলের বয়স মাত্র চার বছর। তিনি আইসক্রিম খেয়ে ফেলায় ছেলে রাগ করে ৯১১ নম্বরে ফোন করেছে। তিনি ছেলেকে আটকানোর আগেই সে ফোন করে বসে।

শিশুটির রাগ তখনো কমেনি। পুলিশকে তার মায়ের বিচার করতে আসতেই হবে। শিশুটির দাবি রাখতে দুই নারী পুলিশ তাদের বাড়িতে উপস্থিত হন। তাঁরা বোঝানোর পর ছেলেটি মাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার দাবি থেকে সরে আসে। বলে, সে আর তার মাকে কারাগারে দিতে চায় না। তবে শিশুটি পুলিশকে বলেছে, সে একটুখানি আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল, তাকে খেতে দেওয়া হয়নি।

পরে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা শিশুটিকে অবাক করে দিয়ে আইসক্রিম নিয়ে আবার তাদের বাসায় যান। আইসক্রিম পেয়ে মহাখুশি হয়ে পুলিশের সঙ্গে সে ছবিও তুলেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ