বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম
Published: 6th, February 2025 GMT
অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির (বিইউ) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। চার বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক ড.
আন্তর্জাতিক মানের কর্মমুখী ও মানসম্মত উচ্চশিক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিইউ’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার।
অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৮৩ সালে মৎস্য অধিদপ্তরে তার কর্মজীবন শুরু করেন, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন এবং সেখানে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে প্রায় ২৭ বছর কাজ করেন। তিনি ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ডিন, প্রধান ও পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অসামান্য গবেষণা কৃতিত্বের জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। দেশি বিদেশি জার্নালে তার ১০৩টি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপ চ র য উপ চ র য ন কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম কারাগারে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় কিশোর মো. শামীম হত্যা মামলায় বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালীর সাবেক এমপি মোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক শাহীন মিয়া কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তারা বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। জামিনের প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হত্যা মামলা। এ আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম সহযোগী। হাসিনার আনুকূল্য নিয়ে ভোট চুরি করে নিজেকে এমপি ঘোষণা করেন। হাসিনা যখন এমপি, মন্ত্রীদের নিয়ে মিটিং করে আন্দোলন দমাতে নির্দেশ দেয়, তখন এ আসামি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শুধু তিনি না, সব এমপি-মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। দুই হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে, ২০ হাজার জন আহত হয়েছে।’’
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ‘‘মানুষের অধিকার হরণ, আয়নাঘর সৃষ্টি, ভোট হরণ, নির্বাচনের নামে তামাশা, রাতে ভোট করে বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে তৈরি করতে তারা সহযোগিতা করেছে। তাদের পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তারা ব্যবসায়ী। আমার প্রশ্ন এরা কেন রাজনীতিতে আসবে। তাদের উদ্দেশ্য সরকারি কর ফাঁকি, শুল্ক ফাঁকি, ঋণ ফাঁকি দিয়ে নিজেদের ব্যবসা দাঁড় করানো। এসব কবে তারা ২০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। অবৈধ অর্থ আন্দোলন দমাতে সহযোগিতা করেছে। হাসিনা, তার মন্ত্রী, এমপিরা সব পালিয়ে গেছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি, এমনকি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমামও পালিয়ে গেছেন। তারা কেন পালিয়ে গেছেন? কারণ তারা অপরাধী। এ আসামিও আত্মগোপনে ছিল। তার জামিন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’’
তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘‘তার সাথে ৩০২ ধারা লাই করে না। তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন না। বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। হসপিটালাইজড ছিলেন।’’
শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশান-২ থেকে মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারের হোটেল চিলিসের সামনে আন্দোলনে অংশ নেয় মো. শামীম (১৩)। বিকেলে আসামিরা গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করলে শামীম আগুনে দগ্ধ হন। পরে ৬ আগস্ট সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৩ অক্টোবর ভিকটিমের মা জাহানারা বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৮ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করে।
মোরশেদ আলম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিরও চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ