বরিশালের ‘বিদেশি দাপট’, চিটাগং কতটা প্রস্তুত?
Published: 6th, February 2025 GMT
বিপিএলের শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। শুক্রবার ফাইনালে গড়াবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ ধাপ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালে উঠে বরিশাল। এবার ট্রফির লড়াইয়েও তামিমদের সামনে একই প্রতিপক্ষ। ফাইনালের জন্য বরিশাল দলে আগে থেকেই ছিলেন কাইল মায়ার্স। এরপর শুধু ফাইনাল খেলাতে উড়িয়ে আনা হল জিমি নিশামকেও। তবে চিটাগং কোনো নতুন বিদেশি না এনে আগের স্কোয়াডের ওপরই ভরসা রাখছে।
লিগ পর্ব থেকেই বরিশাল ও চিটাগংয়ের লড়াই ছিল নজরকাড়া। শেষ ম্যাচে বরিশালকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেয় চিটাগং, যেখানে তামিমদের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় তারা। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে নাটকীয়ভাবে হারিয়ে ফের ফাইনালে ওঠে কিংসরা।
বরিশাল এবার শক্তিশালী দল নিয়েই মাঠে নামছে। শুরু থেকেই দলে থাকা ডেভিড মালান ফাইনালের বড় ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলি প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। আর বিশেষভাবে ফাইনালের জন্যই উড়ে এসেছেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম।
অন্যদিকে, চিটাগং কিংস নতুন কোনো বিদেশি আনেনি, বরং পুরনো দল নিয়েই ফাইনালের পরিকল্পনা সাজিয়েছে। গ্রাহাম ক্লার্ক, খাজা নাফে, হোসাইন তালাত ও বিনুরা ফার্নান্দোর ওপর ভরসা রেখেছে তারা। শেষ পর্যন্ত বরিশালের ‘বিদেশি দাপট’ নাকি চিটাগংয়ের পরিচিত কম্বিনেশন- কারা হাসবে শেষ হাসি, সেটিই দেখার অপেক্ষা!
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
নারী ফুটবলের টালমাটাল সময়ে এল একুশে পদক
নারী ফুটবলারদের বিদ্রোহের মধ্যেই আজ সন্ধ্যায় এল খবরটা। ২০২৫ সালের একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
বাংলাদেশের কোনো ক্রীড়া দলের একুশে পদক পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। দুই যুগ আগে সংস্থা হিসেবে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নারী ফুটবল দলের একুশে পদক পাওয়ার খবরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে দুই শব্দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভালো লাগছে।’
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বলতে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা দলটিকে বোঝানো হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গত অক্টোবরে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখার পর বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল আর কোনো ম্যাচ খেলেনি। এর ফলে সর্বশেষ খেলা দলটিই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে থাকতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল দুবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। প্রথমবার ২০২২ সালে, দ্বিতীয়বার ২০২৪ সালে।
নারী ফুটবলের জন্য সুখবরটা এসেছে এমন সময়ে, যখন দুবারের সাফজয়ী ১৬ ফুটবলারসহ জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ১৮ জন নারী ফুটবলার কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনের নিচে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, রুপণা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দারা ঘোষণা দিয়েছেন, পিটার বাটলার কোচ থাকলে তাঁরা গণ-অবসরে যাবেন। সেই ঘটনায় এখন টালমাটাল দেশের নারী ফুটবল।
সংকট সমাধানে বাফুফে গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি আজ রাতে বাফুফে সভাপতির কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। কমিটি নিজেদের মধ্য শেষবারের মতো সন্ধ্যায় সভা করেছে বাফুফে ভবনে। সেই সভায় কী হয়, প্রতিবেদনে কী থাকে, জল্পনার মধ্যেই বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের একুশে পদক পাওয়ার ঘোষণা এল।
বাংলাদেশে এর আগে কোনো খেলার কোনো দলই একুশে পদক পায়নি। সংস্থা হিসেবে ২০০১ সালে স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল বিসিবি। স্বাধীনতা পদকের জন্য স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অনেকবারই আবেদন করেছিল। কিন্তু তারা এখনো পুরস্কার পায়নি।