গৃহবধূ হত্যার বিচারের দাবিতে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ
Published: 6th, February 2025 GMT
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জুঁই খাতুন (২২) হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অবরোধ চলে।
জানা যায়, ৩ বছর পূর্বে একই উপজেলার সিংগিমারী ইউনিয়নের জাহেদুল ইসলামের মেয়ে জুঁই খাতুনের সাথে সানিয়াজান ইউনিয়নের শেখ সুন্দর গ্রামের মমিকুল ইসলামের ছেলে আলী হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে স্বামী আলী হোসেনের বাড়ি থেকে জুঁই খাতুনের মৃত্যুর খবর আসে। পরিবারের দাবি, স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি মারা যান।
জুঁই খাতুনের মা লিপি বেগম অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী আলী হোসেন মাদক ও জুয়ার আসক্ত ছিলেন এবং যৌতুকের জন্য জুঁইকে চাপ দিতেন। টাকা আনতে না পারায় মারধর শেষে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অবরোধের সময় হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিয়া ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, দ্রুত মামলা গ্রহণ ও আসামি গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়।
এদিকে, পুলিশ প্রথমে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা ধরে নিয়ে একটি ইউডি মামলা রুজু করলেও, পরিবারের আপত্তির মুখে ও আন্দোলনের চাপে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের মাতাল বিমানযাত্রী সহযাত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করলেন
এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রীর বিরুদ্ধে আরেক সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দিল্লি থেকে ব্যাংককে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ভারতের যাত্রীদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। তাঁরা একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। গতকালের ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া ও ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো অভিযোগের ঘটনা খতিয়ে দেখবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার যে ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটেছে, সেটার নম্বর এআই২৩৩৬। ভুক্তভোগী যাত্রীর অভিযোগের পর উড়োজাহাজের ক্রুরা ওই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন।
এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া ওই ঘটনাকে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণ’ বলে মন্তব্য করেছে। এ ঘটনার কথা বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদপ্তরকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে তারা এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া আরও জানিয়েছে, তাদের ক্রুরা যাত্রীদের কাছে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী যাত্রীকে ব্যাংককে নামার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করেছেন। তবে ভুক্তভোগী যাত্রী প্রাথমিকভাবে ব্যাংককে অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু বলেছেন, ‘যদি কোনো অন্যায় করা হয়ে থাকে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ তাঁর মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করবে এবং ফ্লাইট পরিচালনা কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলবে।
ঘটনা খতিয়ে দেখতে এয়ার ইন্ডিয়া একটি স্বাধীন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। কমিটি ঘটনা যাচাই করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাবে।
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আর্য ভোহরা নামের এক ভারতীয় শিক্ষার্থী একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনস তাঁকে নিষিদ্ধ করে। আর্য ভোহরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ওই ঘটনার কয়েক মাস পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন শংকর মিশ্র নামের এয়ার ইন্ডিয়ার এক যাত্রী মাতাল অবস্থায় এক বয়স্ক নারী সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বেশ সমালোচনা হয়েছিল।