একটা সময়ের পর শরীরের মোহ চলে যায়: পরমব্রত চ্যাটার্জি
Published: 6th, February 2025 GMT
অভিনেতা-নির্মাতা পরমব্রত চ্যাটার্জির প্রেমিকাদের তালিকা মোটেও ছোট নয়। তবে একটি সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিলেন; আর সে কথাই স্বীকার করলেন এই নায়ক।
কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে পরমব্রত পরিচালিত ‘এই রাত তোমার আমার’ সিনেমা। এর গল্প গড়ে উঠেছে বৃদ্ধ দম্পতির কাহিনি নিয়ে। দাম্পত্য সম্পর্কের নানা রসায়নের কথা বলেছেন এই নির্মাতা। নিজের নির্মিত সিনেমার গল্প বর্ণনা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরেন ‘বাইশে শ্রাবণ’খ্যাত এই অভিনেতা।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরমব্রত চ্যাটার্জি বলেন, “লম্বা সময় সম্পর্কে থেকেছি।১১ বছর একটা সম্পর্কে ছিলাম। আমার মনে হয়, সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, একটা সময়ের পর শরীরের মোহটা চলে যায়। একটা সময়ের পর হানিমুন পিরিয়ড চলে যায়।”
ব্যাখ্যা করে পরমব্রত চ্যাটার্জি বলেন, “সব চেনা হয়ে যায় অন্য মানুষটার। অন্তত আমরা মনে করি, অন্য মানুষটার শরীর-মন চেনা হয়ে যায়। তাদের প্রাত্যহিক যে অভ্যাসগুলো সেটার সঙ্গেও পরিচিত হয়ে যাই। তার বাথরুমে কতটা সময় লাগে, বাথরুমে থাকলে বাইরে থেকে কতটা আওয়াজ পাওয়া যায় সবটাই জানা হয়ে যায়। সেই সময় ভালোবাসা, প্রেম জিনিসটা অন্য এক মানে পায়। এটা আমার বিশ্বাস। আর সেটা যথাযথভাবে উদযাপন করা হয় না। ইয়ং লাভ বিষয়টা ভীষণ আকর্ষণীয়। ওটা যতটা উদযাপিত হয় এটা হয় না। কিন্তু এই দুটো বুড়ো মানুষের মধ্যে প্রেমও কিন্তু ততটাই আকর্ষণীয়।”
অতীত ভুলে পিয়া চক্রবর্তীর গলায় মালা পরিয়েছেন পরমব্রত। ২০২১ সালে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন সংগীতশিল্পী অনুপম রায়। ওই সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল, পরমব্রতর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে অনুপমের সংসার ভেঙেছে। যদিও তা অস্বীকার করেন পরমব্রত। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর সেই পিয়ার গলায় মালা পরিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে সব সমালোচনা পেছনে ফেলে দাম্পত্য জীবন দারুণ উপভোগ করছেন এই নায়ক।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্টারলিংকের অনুকূলে লাইসেন্স হস্তান্তর করল বিটিআরসি
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের অনুকূলে লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনে প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে ‘ননজিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট অপারেটর লাইসেন্স’ ও ‘রেডিও কমিউনিকেশন অ্যাপারেটার্স লাইসেন্স’ নামে দুটি পৃথক লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।
প্রথম লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বিটিআরসি’র লাইসেন্সিং বিভাগ থেকে, যার মাধ্যমে স্টারলিংক বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। দ্বিতীয় লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে, যার আওতায় ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদিত তরঙ্গ ব্যবহার করাসহ বেতার যন্ত্র ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ আমদানি ও ব্যবহার করতে পারবে।
প্রথম লাইসেন্সটি লাইসেন্সিং বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম স্টারলিংক গ্লোবাল লাইসেন্সিং অ্যান্ড মার্কেট অ্যাভিয়েশনের পরিচালক রেবেকা স্লিক হান্টারের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু।
দ্বিতীয় লাইসেন্সটি রেবেকা স্লিক হান্টারের কাছে হস্তান্তর করেন স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল রানা। এ সময় স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।