চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে অবসরে স্টয়নিস
Published: 6th, February 2025 GMT
হঠাৎ করেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা থাকলেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী স্টয়নিস এখন থেকে শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মনোযোগ দেবেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭১ ম্যাচে ২৬.
অবসর ঘোষণায় স্টয়নিস বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলা আমার জন্য অসাধারণ একটি অভিজ্ঞতা ছিল। দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা ছিল গর্বের, যা আমি সারাজীবন মনে রাখবো। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে মনে করি এখনই সরে দাঁড়ানোর সঠিক সময়। আমি আমার ক্যারিয়ারের পরবর্তী অধ্যায়ে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে চাই।
স্টয়নিস আরও বলেন, অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের (অস্ট্রেলিয়ার কোচ) সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। তার সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। পাকিস্তানে দলের প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে ছিলেন স্টয়নিস। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান। তবে বিশ্বকাপের পর মাত্র একটি ওয়ানডে খেলেছেন, সেটিও পাকিস্তানের বিপক্ষে। গেল বছর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও ক্যামেরন গ্রিনের অনুপস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পেয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড স্টয়নিসের বিদায়ে প্রশংসা করে বলেন, গত এক দশকে তিনি আমাদের ওয়ানডে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। শুধু দুর্দান্ত খেলোয়াড়ই নন, ড্রেসিং রুমেও তার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বগুণ অসাধারণ। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার ও অর্জনকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদায় জানাই। ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও স্টয়নিস এখন থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবসর
এছাড়াও পড়ুন:
বিশেষ চুক্তিতে নাঈম, জাকির ও জয়
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারদের তালিকা মোটামুটি চূড়ান্ত। নতুন করে চুক্তিতে জায়গা করে নিচ্ছেন চার ক্রিকেটার। তিন বছর পর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরছেন সৌম্য সরকার। বাদ পড়ছেন সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। সাকিব গত বছর জাতীয় দলে খেললেও রাজনৈতিক কারণে ক্রিকেটে সম্পৃক্ত থাকতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বিবেচনা করা হবে না বলে জানান বিসিবির একজন কর্মকর্তা। আর সোহান গত বছর জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন না। সংযোজন-বিয়োজনের মধ্যে নতুন একটি ক্যাটেগরি করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে হবে সেই তালিকা। জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও নাঈম হাসানকে দেওয়া হতে পারে বিশেষ চুক্তিতে। নির্বাচক প্যানেল সূত্রে জানা গেছে, বিসিবির শীর্ষ কর্তারা এই বিশেষ ক্যাটেগরিতে রাজি আছেন।
২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ২১ থেকে ২৪ ক্রিকেটারকে রাখার পরিকল্পনা বিসিবি নির্বাচক প্যানেলের। গত বছর টি২০ থেকে অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ শুধু ওয়ানডে চুক্তিতে থাকছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর অবসর নিলে বিসিবির নীতিমালা অনুযায়ী চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানান বোর্ডের একজন কর্মকর্তা। পঞ্চপাণ্ডব থেকে কেবল মুশফিকুর রহিমকে দুই সংস্করণের চুক্তিতে রাখা হচ্ছে। টেস্ট এবং ওয়াডেতে দলের নিয়মিত ক্রিকেটার তিনি। কেন্দ্রীয় চুক্তির সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার মুশফিক।
নতুন করে চুক্তিভুক্ত হচ্ছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম, উইকেটকিপার ব্যাটার জাকের আলি অনিক, ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তামিম সাদা বলের চুক্তিতে থাকবেন। জাকেরকে তিন সংস্করণে নেওয়া হতে পারে। রানাকে দেওয়া হবে টেস্ট আর ওয়ানডেতে। সাদা বলের চুক্তিতে ফিরছেন সৌম্য সরকার। ২০২৩ সাল থেকে জাতীয় দলে নিয়মিত বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। ২০২১ সালে শেষবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেবার টি২০ বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলে অনিয়মতি হয়ে পড়েন। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয়বার জাতীয় দলের কোচ হওয়ার পর ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে সৌম্যের। ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে জাতীয় দলে নিয়মিত হন। ওয়ানডেতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি দিয়ে ছন্দে ফেরেন। সম্প্রতি টি২০ ক্রিকেটেও ভালো করছেন। ওয়ানডে ও টি২০ ক্রিকেটের ওপেনিং জুটিতে কোচিং স্টাফ ও নির্বাচকদের প্রথম পছন্দ তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে সে বার্তা পরিষ্কার দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও লিটন কুমার দাসকে তিন সংস্করণের চুক্তিতে রাখা হবে। মেহেদী হাসান মিরাজও আর তাসকিন আহমেদ তিন সংস্করণের খেলোয়াড়। গত বছর শুধু সাদা বলের চুক্তিতে ছিলেন তিনি। হাসান মাহমুদ, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ টেস্টের ক্রিকেটার। সাদা বলের দুই সংস্করণে থাকবেন তাওহীদ হৃদয়, মুস্তাফিজুর রহমান।
শেখ মেহেদী, নাসুম আহমেদ টি২০তে চুক্তি পাবেন। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকে নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচকরা জানান, বোর্ড মিটিংয়ের আগেই চূড়ান্ত তালিকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিশেষ ক্যাটেগরি করার কেন প্রয়োজন হলো, জানতে চাওয়া হলে একজন নির্বাচক বলেন, ‘জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, নাঈম হাসান চুক্তিতে ছিল। তাদের ছেড়ে দিলে জাতীয় লিগের চুক্তিতে চলে যাবে। আমরা চাই না তাদের বাদ দিতে। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও ভিন্ন একটি ক্যাটেগরিতে রাখা হবে। সেটার নাম কী হবে, পরে জানতে পারব।