অনেক বাবা মা শিশুকে অতিরিক্ত শাসন করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত শাসন করলে শিশুর মানসিক বৃদ্ধি ধীর হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া, শিশুর শেখার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। আরও ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে শিশুকে অতিরিক্ত শাসন করলে শুধু মানসিক ক্ষতিই হয় না, তার শারীরিক ক্ষতিও হয়ে তাকে। অতিরিক্ত শাসনের ফলে শিশুর যেসব ক্ষতি হয় জেনে নিন।
আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশু যখন কিছু বলতে যায় তখন বাবা-মায়েরা তাকে আটকে দেন। এতে শিশুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়, আত্মবিশ্বাসও অনেকটা হ্রাস পায়।
তর্ক করার প্রবণতা বারে: শিশুকে কথা বলতে বাধা দিলে বাবা মায়ের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটতে পারে এবং শিশুর তর্ক করার প্রবণতা বাড়তে পারে।
সৃজনশীল ক্ষমতা কমে যায়: শিশু কোনো কাজ করতে গেলেই যদি বাধা পায় তাহলে ‘নার্ভাসনেস’ এ ভুগতে পারে। শিশুর মনে রাগ জন্মাতে পারে। একটা পর্যায়ে শিশু তার মনে কথা শেয়ার করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
করণীয়: শিশুকে কথা বলতে দিন। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সে কি বলতে চায় বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি যা বলতে চান তা বুঝিয়ে বলুন। প্রয়োজনে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শিশুকে তিরস্কারের বদলে প্রশংসা করুন। যেকোন মানুষ নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। শিশুর ছোট ছোট কাজগুলো কত সুন্দর, কী করলে আরও বেশি সুন্দর হতে পারে তা বলুন। এতে সে কাজের প্রতি আরও উৎসাহী হবে। আপনার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে চেষ্টা করবে। তবে অতিরিক্ত প্রশংসা না করাই ভালো। অতিরিক্ত প্রশংসা অতিরিক্ত শাসনের মতোই ক্ষতিকর হতে পারে।
ঢাকা/লিপি/এনএইচ/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন
নারী নির্যাতনসহ সার্বিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এসব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যা নারীদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। নারী নির্যাতনসহ সার্বিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। সরকারকে নারী নির্যাতনসহ সব ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নারী নির্যাতনসহ নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও নারীরা যে অগ্রগামিতা দেখাচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের মতো বিদেশেও নারীরা প্রশসংনীয় ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীকে যৌন হয়রানি, শ্লীলতাহানি এবং হেনস্তা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত এবং বেপরোয়া হয়েছে, যা এখনও চলমান রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নারীদের সম্মান রক্ষা এবং নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এর তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করে সবাইকে সচেতনভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।