জন্মদিন: হলিউডের রূপালি পর্দা থেকে মার্কিন রাজনীতির সর্বোচ্চ শিখরে
Published: 6th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন রোনাল্ড রিগ্যান। যোগাযোগ দক্ষতা, ভবিষ্যৎ নিয়ে সব সময় আশাবাদী থাকা এবং আমেরিকার সম্ভাবনার ওপর অবিচল বিশ্বাসের কারণেও তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা১৯১১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে জন্ম হয় রোনাল্ড উইলসন রিগ্যানের। বাবা জন এডওয়ার্ড রিগ্যান ও মা নেলি উইলসন রিগ্যান। কয়েকবার আবাস বদলের পর ১৯২০ সালে অঙ্গরাজ্যের ডিক্সনে থিতু হয় রিগ্যান পরিবার।
স্কুল ও কলেজজীবনে দারুণ অ্যাথলেট ছিলেন রোনাল্ড রিগ্যান। ভালো ফুটবল খেলতেন, ছিলেন দৌড়বিদ ও সাঁতারু। ১৯৩২ সালে খেলাধুলার ধারাভাষ্যকার হিসেবে একটি রেডিওতে যোগ দেন।
১৯৩৭ সালে অভিনয়জগতে নাম লেখান রিগ্যান। তিনি ৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। টেলিভিশনেও কাজ করেছেন।
সিনেমাজগৎ থেকে হোয়াইট হাউসে যাত্রা১৯৩৭ সালে হলিউডে অভিনয়জগতে নাম লেখান রিগ্যান। পরের তিন দশকে তিনি ৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন। কাজ করেছেন টেলিভিশনেও।
রিগ্যানের অভিনয় করা জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর অন্যতম ‘নুট রকনে: অল আমেরিকান’। ১৯৪০ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি একটি বায়োপিক। আমেরিকার একজন ফুটবলারের জীবনের ওপর তৈরি করা।
১৯৪২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কিংস রো’–তে রিগ্যানের অভিনয়ও দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। তিনি ওই সিনেমায় দুর্ঘটনায় পা হারানো এক ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত রিগ্যান স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি টেলিভিশন সিরিজেও কাজ করেছেন।
১৯৬৪ সালে মুক্তি পাওয়া বিতর্কিত সিনেমা ‘দ্য কিলার্স’–এ অভিনয় করেছিলেন তিনি। এটি ছিল রিগ্যানের অভিনয়জীবনের শেষ সিনেমা।
২০০৩ সালে ওয়াশিংটনে একটি আদালতে হাজিরা দিতে এসেছেন জন হিঙ্কলি জুনিয়র। তিনি রোনাল্ড রিগ্যানকে গুলি করেছিলেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফাইনালে আম্পায়ার থাকছেন যারা
ভারত-নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালে দিয়ে রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) পর্দা নামতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের জন্য চার আম্পায়ারের ও এক ম্যাচ রেফারির তালিকা ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে অন ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকছেন না উপমাদেশের কেউ।
ভারত এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছেছে। এর আগে ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে তারা ফাইনালে খেলেছিল তারা। তারা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দুটি দলের একটি। ভারত ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে শিরোপা জিতেছিল এবং ২০১৩ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে।
আরো পড়ুন:
ম্যাচ ডে’তে রোজা না রাখায় সমালোচিত শামি
ফাইনালে যে পাঁচ বিষয়ে চোখ থাকবে
অন্যদিকে নিউ জিল্যান্ডের একমাত্র শিরোপা ২০০০ সালে এসেছিল। নাইরোবিতে সেই ফাইনালে তারা ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারার পর, এটি তাদের তৃতীয় ফাইনাল।
এই ধরনের সফল দুটি দলের মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচের জন আইসিসি উপমহাদেশের বাইরের দুজনকে আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। একজন অস্ট্রেলিয়ার পল রাইফেল, অন্যজন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ।
বাকি তিন ম্যাচ অফিশায়ালের দুজন অবশ্য উপমহাদেশের। চতুর্থ আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকছেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ সদস্য রঞ্জন মাদুগালে। দুজনই শ্রীলঙ্কার। জোয়েল উইলসন তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন।
চলমান আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালটিতেও রাইফেল দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অন্যদিকে ইলিংওয়ার্থ দুবাইতে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার শেষ চারের ম্যাচটি পরিচালনা করেছিলেন। চারবারের আইসিসি আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার শিরোপা বিজয়ী ইলিংওয়ার্থ ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও আম্পায়ার ছিলেন।
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ম্যাচ কর্মকর্তাদের পূর্ণ তালিকা:
অন-ফিল্ড আম্পায়ার: পল রেইফেল ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ
তৃতীয় আম্পায়ার: জোয়েল উইলসন
চতুর্থ আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা
ম্যাচ রেফেরি: রঞ্জন মাদুগালে
ঢাকা/নাভিদ