শেরপুরে ৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
Published: 6th, February 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও শেরপুর জেলার তিনটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আলোচনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলা জামায়াতের প্রচার বিভাগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হয়। আর বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, শেরপুর-১ (শেরপুর সদর) আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মু.
শেরপুর সদর-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘‘সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমি আগেই এই ব্যাপারে তথ্য পেয়েছি। আমাকে আমার এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে কাজ করতে বলা হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘তৃণমূল পর্যায়ে মানুষ জামায়াতের নেতৃত্ব দেখতে চাচ্ছে, যা আমাদের উৎসাহিত করেছে। আগেভাগে প্রার্থী দেয়ার ফলে প্রতিটি গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ের মানুষ তাদের প্রার্থীদের চিনতে পারবে।’’
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-৩ আসনের প্রার্থী আলহাজ নুরুজ্জামান বাদল বলেন, ‘‘স্থানীয় মতামত ও মাঠপর্যায়ের জরিপের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামী সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের দুঃখ-কষ্ট বুঝার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রার্থী মনোনয়নে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। তাই আমাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সহজ।’’
ঢাকা/তারিকুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম আসন র
এছাড়াও পড়ুন:
দূষণে বিশ্বের ১২৬ নগরীর মধ্যে শীর্ষে আজ ঢাকার বায়ু
বিশ্বের ১২৬টি দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রাজধানী ঢাকার অবস্থান প্রথম। আজ সোমবার সকাল ৯টা ৭ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ২৪৭। বায়ুর এই মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই সূচক তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ২০৯, অর্থাৎ সেখানকার বায়ুও খুব অস্বাস্থ্যকর। তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২০৭। ১৯৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। পঞ্চমে চীনের বেইজিং, স্কোর ১৮৮।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।