কোন রঙের প্লাস্টিক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত
Published: 6th, February 2025 GMT
একাধিক গবেষণা জানিয়েছে, কালো রঙের প্লাস্টিকে ক্যানসারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যায়, কালো রঙের প্লাস্টিকের মাধ্যমে শরীরে পলিব্রমিনেটেড ডাইফিনাইল ইথারের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ উপাদান বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের জন্য দায়ী। ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত।
২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত আরেক গবেষণা থেকে জানা যায়, কালো রঙের প্লাস্টিকে ব্রমিনেটেড ফ্লেম রিটার্ডান্টস ও অরগানোফসফেট ফ্লেম রিটার্ডান্টসের পরিমাণ সর্বোচ্চ। ২০৩ ধরনের কালো রঙের প্লাস্টিকের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, সব ধরনের কালো প্লাস্টিকেই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এই দুই রাসায়নিক আছে। এই প্লাস্টিক যেভাবেই ব্যবহার করেন না কেন, এর মাধ্যমে ক্ষতিকর উপাদানগুলো মানবদেহ ও পরিবেশে প্রবেশ করে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ‘নিউরোটক্সিডিটি’র অন্যতম কারণ এ বিষাক্ত রাসায়নিক।
আরও পড়ুনযে ৭ খাবার পুনরায় গরম করলে ‘বিষাক্ত’ হয়ে যায়০২ মে ২০২৪সবচেয়ে বিষাক্ত কালো রঙের প্লাস্টিক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অগ্রযাত্রায় জলবায়ু সংগঠন ‘রিনিউ আর্থ’
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করার তীব্র ইচ্ছা থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কুষ্টিয়ার স্বপ্নবাজ তরুণ মো. প্রত্যয় বিন শাফী শুরু করেন ‘রিনিউ আর্থ’ নামের সংগঠন। জেলার নদীভাঙন সমস্যা থেকেই এই উদ্যোগের সূত্রপাত। কুষ্টিয়ার একমাত্র যুব সংগঠন হিসেবে শুরু থেকেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও তরুণদের সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে সংগঠনটি। প্রাথমিক পর্যায়ে নানান বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয় ‘রিনিউ আর্থ’। সংগঠনের তরুণদের প্রশিক্ষণে ‘ব্রাইটার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ’ ও ‘ভলান্টিয়ার অপরচুনিটিজ’ সংগঠনটির পাশে দাঁড়ায়। তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ইভেন্টে যুক্ত হতে থাকে ‘রিনিউ আর্থ’, যার ফলে সংগঠনটি ধীরে ধীরে জলবায়ু অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে। ২০২৪ সালে সংগঠনটির কার্যক্রম কুষ্টিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে রাজশাহী ও ঝিনাইদহ জেলায় সম্প্রসারিত হয়। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে প্রতিষ্ঠাতা শাফী দেশের শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবকের পুরস্কার অর্জন করেন।
২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর ‘রিনিউ আর্থ’ কুষ্টিয়ায় প্রথমবারের মতো জলবায়ুবিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজন করে। নতুন বছরের শুরুতেই ‘তারুণ্যের উৎসব’-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনটি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। একই সময়ে কার্বন নিঃসরণ প্রতিরোধে ৩০০-এর অধিক তরুণকে একত্র করে শহরজুড়ে সাইকেল র্যালির আয়োজন করে, যা ব্যাপক প্রশংসিত হয়। বর্তমানে কুষ্টিয়া, ঢাকা ও রাজশাহীতে শতাধিক সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে সংগঠনটির
কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রত্যয় বিন শাফী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন শুধু উপকূলীয় এলাকার মানুষের সমস্যা না, বরং দেশের প্রতিটি অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। প্রতিটি জেলার তরুণদের উচিত স্থানীয় জলবায়ু সমস্যা চিহ্নিত করে নীতিনির্ধারকদের সামনে তুলে ধরা, কারণ তরুণরাই বিশ্ব দরবারে নিজেদের সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে উপস্থাপন করতে পারে। আমরা সেই পথেই হাঁটছি।’u