সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল থেকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে পাড়ি জামিয়েছেন নেইমার জুনিয়র। নিজের ৩৩তম জন্মদিনে প্রায় ১২ বছর পর সান্তোসের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। বতাফোগোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে তার দল। তবে নিজের প্রত্যাবর্তনের দিনে ম্যাচসেরা হয়েছেন নেইমার।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ব্রাজিলিয়ান পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটিতে প্রায় ২০ হাজার দর্শক নেইমারের মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিলেন। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটে দ্বিতীয়ার্ধে। অধিনায়ক আর্মব্যান্ডপর এবং ১০ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে নামলেন নেইমার। গান আর স্লোগানে মুখরিত গ্যালারি।

সান্তোসে একসময় তিনি পরেছেন ১৮, ৭ ও ১১ নম্বর জার্সি। এবার তাকে ১০ নম্বর জার্সি দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। কিংবদন্তি পেলের প্রতীক হয়ে ওঠা সেই জার্সি গায়ে তিনি নামেন। দুহাত তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্রষ্টার প্রতি।

চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার অস্বস্তি আর জড়তা ছিল তার শরীরে ও পারফরম্যান্সে। দু-একবার অবশ্য জাদু দেখানোর চেষ্টা করেছেন। একবার গোল করার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন বেশ। দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে শট নিয়েছিলেন গোলে। কিন্তু গোলকিপার তা আটকে দেন দারুণ দক্ষতায়।

আরও দুই দফায় তার পাস থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে কোনোটিই কার্যকর হয়নি। প্রথমার্ধে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে ছিল সান্তোস। পরে ৬৭তম মিনিটে গোল শোধ করে দেয় বতফোগো। এতে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা একের পর এক নেইমারের সঙ্গে কথা বলা, ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন। পারফরম্যান্স যেমনই হোক, সান্তোসের হয়ে ফেরার মুহূর্তটিই তার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা পেয়ে গেছে।

নেইমার বলেন, ভালোবাসার জন্য কোনো কিছু করতে পারারার যে অনুভূতি, এটা প্রকাশ করার ভাষা জানা নেই আমার। সান্তোসকে প্রচণ্ড ভালোবাসি আমি এবং আজকে যখন মাঠে নেমেছি, ওই সময়ের অনুভূতি কোনোভাবেই বোঝাতে পারব না কাউকে।

শুরুটা সেভাবে ভালো করতে না পারলেও কয়েকটি ম্যাচ খেললে সময়ের সঙ্গে পারফরম্যান্সও ভালো হবে বলে বিশ্বাস নেইমারের। তার ভাষ্য, ম্যাচটি খুব কঠিন ছিল। আমার বাবা ছিলেন মাঠে। তাকে আগেই বলেছিলাম, কঠিন ম্যাচ হবে। রক্ষণ ওরা অনেক ভালো দল, অনেকটা নিচে নেমে খেলে। আমাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং আরও অনুশীলন করে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মাঠে আরও সময় কাটাতে হবে আমাকে, ম্যাচ খেলতে হবে। এখনও শতভাগ নই। আজকে রাতে খুব বেশি দৌড়ানো ও ড্রিবল করার আশা নিজেরও ছিল না। আমার মনে হয়, চার-পাঁচটি ম্যাচ খেললে আরও ভালো অনুভব করব।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

বছরজুড়ে দেশের মাঠে বাজে পারফরম্যান্স

, জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা দল 

২০২৩ বিশ্বকাপের পরপর দেশের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি সিরিজ খেলে লাল সবুজের দল। জয় তো দূরে থাক ড্র'ও করতে পারেনি টাইগাররা।

এবার বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে। সিলেট ও চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দলটি। প্রথম টেস্টের জন্য মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে শক্তিশালী দল গঠন করেছে বিসিবি। ইনজুরির কারণে দলে নেই তাসকিন আহমেদ আর পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) জন্য ছুটিতে থাকায় লিটন দাসকে রাখা হয়নি।

সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শক্তিশালী দল গঠনের কারণ ব্যাখা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দেশের মাঠে গত এক বছরের বাজে পারফরম্যান্স থেকে বেরিয়ে আসতেই মূলত এমন দল গড়া।

লিপু বলেন, “গত এক বছরে আমাদের দেশের পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। সেকারণে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে আমাদের সম্ভাব্য সেরা দলটি নিয়ে আমরা খেলার চেষ্টা করছি।” 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ১৮টি টেস্ট খেলেছে। তাতে শান্তরা জয় পেয়েছেন ৮টিতে আর হেরেছেন ৭টিতে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সবশেষ ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসেছিল জিম্বাবুয়ে। সেবার ধবলধোলাই হয় সফরকারীরা। এরপর ২০২১ সালে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েতে খেলতে যায়। সেবারও জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ।

তিনজন ওপেনার, তিন জন স্পিনার এবং ৪ জন পেসার নিয়ে দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। কনকাশনের বিষয়টি মাথায় রেখে এমন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।

“কনকাশন আসার পর থেকে লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের (একই ধরণের ক্রিকেটার) যে কথাটা চলে আসছে, সে কারণে একজন বাড়তি ওপেনার, মিডল অর্ডারে একটা রাখা, স্পিনে একজন রাখা, পেস বোলিংয়ে যদি তিনজন সিমার থাকে সেখানেও একজন রাখে। সেকারণে আমাদের স্কোয়াডটা আমরা ১৫ জনের করেছি।”

লিটন দাস না থাকায় ছয় কিংবা সাতে দেখা যেতে পারে জাকের আলী অনিক কিংবা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। দুজনেই টেস্টে নবাগত। কে খেলবেন এটা বাছাইয়ের জন্য ম্যানেজম্যান্টকে মধুর সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করেন আশরাফ।

“৬ বা ৭ এ লিটন দাস না থাকাতে এখানে একটা মধুর সমস্যা আছে। এটা বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। পাশাপাশি আমাদের স্পিনে অনেক অপশন আছে, মেহেদী মিরাজ অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন, তাইজুল আছেন, নাঈম আছেন, সো এই অপশনটাও রাখা হয়েছে। চারজন পেসার আছেন, সেখানেও অপশন থাকবে।”

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবাহনীর জয়ে উজ্জ্বল অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক
  • ক্রিকেটারদের ‘সন্দেহজনক’ পারফরম্যান্স, গুরুতর অভিযোগ পারটেক্স কোচের
  • ৩১ ইনিংসে নেই সেঞ্চুরির জুটি,শুরুর হাল ধরবেন কে?
  • একের পর এক ছক্কা মারার রহস্য জানালেন পুরান
  • সামনের মৌসুমে ইপিএলের ৫ দল চ্যাম্পিয়নস লিগে
  • বছরজুড়ে দেশের মাঠে বাজে পারফরম্যান্স
  • কোন ওষুধে কাজ হচ্ছে কোহলির বেঙ্গালুরুর