১২ বছর পর সান্তোসে ফিরে ম্যাচসেরা নেইমার
Published: 6th, February 2025 GMT
নেইমারের মতো তারকার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি এখনো। তিনি চাইলেই ইউরোপ কিংবা আমেরিকার কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেগুলোর পেছনে না ছুটে, ছুটতে শুরু করেছেন স্বপ্নের পেছনে। যে স্বপ্নের ক্যানভাস অনেক বড়। তাইতো ইউরোপ কিংবা আমেরিকার মোহ উপেক্ষা করে এক যুগ পর ফিরে গেছেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। সেখানে বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রাতে সান্তোসে প্রত্যাবর্তনের অভিষেক হয় তার। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামলেও ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন তিনি।
অবশ্য তার ফেরার ম্যাচে জয় পায়নি সান্তোস। ব্রাজিলিয়ান পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপে বোটফোগোর বিপক্ষের ম্যাচটিতে ১-১ গোলে ড্র করেছে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বনটেম্পোর পরিবর্তে মাঠে নামেন নেইমার। তখন উভয় দলের ভক্ত-সমর্থকরা করতালি দিয়ে নেইমারকে মাঠে স্বাগত জানায়। যদিও মাঠে নেমে প্রথমবার বলের স্পর্শ পান বাজেভাবে। বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ের ক্লিয়ার করা বল গিয়ে আঘাত করে নেইমারের নিম্নাঙ্গে। তিনি লুটিয়ে পড়েন মাঠে।
আরো পড়ুন:
সান্তোসে আবেগী প্রত্যাবর্তন নেইমারের
সমঝোতায় আল-হিলাল ছাড়লেন নেইমার, যাচ্ছেন কোথায়?
এরপর অবশ্য বাকি সময় বেশ ভালো খেলেন। বেশ কিছু আক্রমণ শানান। গোলপোস্টের দিকে তিনি পাঁচটি শট নেন। যদিও প্রথমার্ধ সান্তোস শেষ করেছিল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে। কিন্তু নেইমার নামার পর ৬৭ মিনিটে তারা একটি গোল হজম করে। অবশ্য ৭১ মিনিটে বোটাফোগো এসপির ওয়াল্নি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বাকি সময় তারা দশজন নিয়ে খেললেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি নেইমারের দল। তাতে ১-১ গোলের সমতায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে সান্তোস। আর প্রত্যবর্তনের ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক স্ট্রাইকার।
সান্তোস ৭ ম্যাচের ২টিতে জিতে, ২টিতে ড্র করে ও ৩টিতে হেরে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে সান্তোস। অন্যদিকে ৭ ম্যাচের ৪টিতে ড্র করে ও ৩টিতে হেরে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বোটাফোগো আছে ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পরের ম্যাচে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা নভোরিজনতিনোর মুখোমুখি হবে সান্তোস।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতির ধারাবাহিকতা জরুরি
স্থানীয় হোক, আর বিদেশি হোক– সকল বিনিয়োগকারীর জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নীতির ধারাবাহিকতা সবচেয়ে জরুরি। অন্যদিকে নীতি যা আছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সহনীয় রাখাও খুব প্রয়োজনীয় বিষয়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে এমন মত দেন বক্তারা।
তাদের মতে, এ দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় বাধা নীতির ধারাবাহিকতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকা। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতাসহ আরও কিছু বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
সেমিনারে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ একটি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখনকার বিভিন্ন নীতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিনিয়োগ-সংক্রান্ত ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর সমাধান করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, কেন বাংলাদেশে বিদেশিরা বিনিয়োগ করবে– এ প্রশ্ন সবসময় আসে। এর উত্তরে তাঁর বক্তব্য হলো, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবম ভোক্তা বাজার হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের শক্তিশালী জনবল আছে। বিনিয়োগবান্ধব নীতি আছে।
গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। বিনিয়োগকারীরা নীতির ধারাবাহিকতা চান। হঠাৎ নীতির পরিবর্তনকে তারা বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখেন। তাঁর মতে, এনবিআর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে নীতির সমন্বয় নেই। বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যেও সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রয়োজন। শিল্পায়ন থেকে শুরু করে সব জায়গায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির ব্যবহার করতে হবে।
বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করানোর উদ্যোগের উপায় প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিনা শুল্কে সুতা আমদানি করে। এটি অব্যাহত রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের উচিত পণ্য ধরে ধরে আলোচনা করা।
আমরা কি আসলেই বিনিয়োগ বান্ধব হতে পেরেছি– এমন প্রশ্ন রেখে এপেক্স ফুটওয়্যারের এমডি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রশ্ন আসে বাংলাদেশে কেন বিনিয়োগ করব। বিনিয়োগকারীদের অনেক বিকল্প আছে। ভারত, চীন ও মালয়েশিয়া তাদের বড় বিকল্প। এখন আমাদের প্রয়োজন নীতির প্রাসঙ্গিকতা। নীতির বাস্তবায়ন।’
জাপান-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, যারা ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের প্রতি নজর বাড়াতে হবে। তাদের সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করা সম্ভব।
বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বলেন, বাংলাদেশে ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’ খুবই কম। যারা আছে তাদের নিবন্ধন জটিলতা অনেক বেশি। বিএসইসিসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। তবে বিডা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছে। এর মাধ্যমে নিবন্ধন আগের চেয়ে সহজ হয়েছে।