সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে ছিনতাই ঠেকাতে হালকা অস্ত্র পেতে যাচ্ছেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। ইতোমধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার (বিডিআর মার্কেট) ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাউন্টার সিস্টেম চালু করা হয়েছে। চালক-মালিকসহ যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে ট্রাফিক পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ থাকলো।

এ সময় শর্ত সাপেক্ষে চালকদের অ্যাপোয়নমেন্ট লেটার দেওয়ার জন্য মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

রাস্তাঘাটে ছিনতাইয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাজ্জাত আলী বলেন, বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে ছিনতাই করার বিষয়গুলো আমার নজরে এসেছে। আমাদের লোকবল কম। দেখা যায়, অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা কিছু করতে পারেন না। এজন্য তাদের ‘স্মল আর্মস’ বা হালকা অস্ত্র দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেড়েছে, এমন অভিযোগে অত্যন্ত কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। ব্যাপক ধরপাকড়ের ফলে অসংখ্য ছিনতাইকারী আটক হয়েছে। গত ১৫ দিনে ছিনতাইয়ের পরিমাণ আগের তুলনায় কমে এসেছে। আমাদের এই কার্যক্রম শক্তভাবে অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করেছি। গভীর রাত পর্যন্ত আমি নিজে সেখানে প্রতিবেদন নিয়েছি।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার

নয়াদিল্লি-ঢাকার ইতিবাচক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের উপকারে আসতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দুই দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত মতামত কলামে এ কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। আজ বৃহস্পতিবার কলামটি প্রকাশিত হয়েছে।

কলামে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে একটি কার্যকর ও ইতিবাচক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। আমরা আশা করি ভারতও এই ইচ্ছায় সায় দেবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট। ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানবোধের ভিত্তিতে একটি ইতিবাচক ও কার্যকর সম্পর্ক চাই আমরা। আমরা আশা করি, ভারতও আমাদের এই ইচ্ছার সঙ্গে সুর মেলাবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। ভুল বোঝাবুঝি ও অস্থিরতার জায়গাগুলো নিরসনের মাধ্যমে সম্পর্কের ইতিবাচক দিকগুলোকে কাজে লাগানোর কথাও বলেন তিনি।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতে বাংলাদেশি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে অনেক উচ্চবাচ্য হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ক্ষমতা শূন্যতার সময়টুকুতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। যার ফলে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তবে যারা এতে প্রভাবিত হয়েছেন, তারা সবাই আগের সরকারের সুবিধাভোগী এবং বেশিরভাগই মুসলমান। ক্ষমতা গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকার এসব অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এমনকি সারাদেশের জনগণও সাহসিকতার সঙ্গে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, তাদের পরিবার ও মন্দিরের সুরক্ষা দিতে এগিয়ে আসে। তা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের গণমাধ্যম ও সাইবারস্পেস বড় আকারে অতিরঞ্জিত ও প্রায়শই পুরোপুরি ভুয়া তথ্য প্রকাশ করে নেতিবাচক আবহ সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে, যোগ করেন তিনি।

উপদেষ্টা দাবি করেন, সব ধর্মবিশ্বাসের মানুষের অধিকারের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অন্য সব নাগরিকের সমান অধিকার ভোগ করে থাকেন। আমরা দক্ষিণ এশিয়া তথা সারাবিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হতে চাই। বাংলাদেশে এখন কী হচ্ছে তা নির্বিঘ্নে পর্যবেক্ষণ করার জন্য আমরা ভারতের সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাই। ভারতের জনগণ তাদের পক্ষপাতহীন তদন্ত থেকে প্রকৃত সত্য জানতে পারবেন।

বিভিন্ন সমস্যা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিছু ইতিবাচক লক্ষণ দেখা গেছে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। উদাহরণ হিসেবে তিনি নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ও দুই দেশের জেলে-বিনিময়ের ঘটনাগুলো উল্লেখ করেন।

তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, এই ইতিবাচক উদ্যোগগুলোর ওপর ভিত্তি করে এমন একটি অংশীদারিত্ব তৈরি হবে, যা দুই দেশের মানুষ, এই অঞ্চল ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য মঙ্গলজনক। এ ক্ষেত্রে একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে সীমান্তে নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষদের গুলি করে হত্যার ধারা থেকে বের হয়ে আসা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ